ন্যায়বিচারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির পথে হাঁটতে শুরু করেছে সরকার: রিজভী

সরকার গুমের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের সাক্ষ্য-প্রমাণ ও আলামত ধ্বংসের বেআইনি এবং ন্যায়বিচারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির পথে হাঁটতে শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেছেন, ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনের’ অভিযোগ তুলে সম্প্রতি বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং বাহিনীর সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ভিসা বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর পর থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন অবৈধ সরকার দিশেহারা হয়ে গেছে। তাদের দ্বারা সংঘঠিত গুমের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের সাক্ষ্য-প্রমাণ ও আলামত ধ্বংসের বেআইনি এবং ন্যায়বিচারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির পথে হাঁটতে শুরু করেছে।

শনিবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

রিজভী বলেন, বিএনপির কাছে এ মর্মে সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত আছে যে, চলতি মাসের ১০ জানুয়ারি রাত আনুমানিক ১১ টার দিকে ২০১৩ সালে গুমের শিকার রাজধানীর সবুজবাগ থানা ছাত্রদলের সভাপতি মাহবুব হাসান সুজনের (সুজন) বাবা আব্দুল জলিল খানের বাড়িতে যায় সবুজবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রবীন্দ্রনাথ সরকার রবীনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম। সেখানে সুজনের বাবাকে দিয়ে পুলিশের হাতে লেখা একটি বক্তব্যে সই দিতে চাপ প্রয়োগ করে, যেখানে লেখা ছিলো সুজন স্বেচ্ছায় বাড়ি থেকে চলে গিয়ে নিখোঁজ হয়। সুজনের বাবা ওই ফরমায়েশি বক্তব্যে সই দিতে অস্বীকার করলে তাকে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। বিষয়টি বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস মোবাইলের মাধ্যমে অবগত হলে তার হস্তক্ষেপে ফিরে যায় পুলিশ।

বিএনপি আরও অবগত আছে, একই প্রক্রিয়ায় পুলিশ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গুমের শিকার সাজেদুল ইসলাম সুমনসহ অন্য পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকেও একই প্রকার ফরমায়েশি বক্তব্য আদায়ের চেষ্টা করেছে। গুমের সাক্ষ্য এবং আলামত ধ্বংসের এ ধরনের বেআইনি পদক্ষেপ অবৈধ সরকারের মানবতাবিরোধী অপরাধের সম্পৃক্ততা শুধু প্রতিষ্ঠিতই করছে না, এ পদক্ষেপগুলো এ অবৈধ সরকারকে নিত্য নতুন অপরাধেও সম্পৃক্ত করছে। গুম-খুনের এ সরকার শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা লাভ করবে।