বঙ্গবন্ধু দেশে মদ-জুয়া নিষিদ্ধ করেছিলেন: তথ্যমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধু শেখ মুবিজুর রহমান দেশে মদ-জুয়া বন্ধ করলেও জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সেটি চালু করেছিলেন বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে নারায়ণগঞ্জ জেলা সমিতি আয়োজিত নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রেষ্ঠ পুরস্কার-২০২১ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশে মদ-জুয়া নিষিদ্ধ করেছিলেন, জিয়াউর রহমান এসে সেটি চালু করেছিলেন। বাংলাদেশের আলেমদের শতবর্ষী দাবি ছিল, দেশে একটি ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্টা করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটি প্রতিষ্ঠা করেছেন। কওমি মাদরাসার দাবি ছিল স্বীকৃতি পাওয়া। তাদেরকে সনদের নামে মুলা ঝুলিয়ে রাখেন এরশাদ, খালেদা জিয়া, জিয়াউর রহমান সবাই। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সে দাবি পূরণ করেছেন।

ড. হাছান বলেন, আমরা নির্বাচন আসলে ধর্মকে ব্যবহার করি না। ব্যবহার করে বিএনপি-জামায়াত। তারা ধর্মকে ব্যবহার করে ভারতবিরোধী শ্লোগান দিয়ে নির্বাচন করে। কিন্তু তারা ধর্মের জন্য কিছু করেনি। বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলায় সরকারি উদ্যোগে একটি করে মসজিদ হবে, এটা কখনো কেউ ভাবেনি। প্রধানমন্ত্রী সেটি বাস্তবায়ন করেছেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাহাজ্জুদ ও ফজরের নামাজ দিয়ে দিন শুরু করেন। তিনি একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান। শুধু ইসলাম ধর্মের জন্যই নয়, তিনি সব ধর্মের মানুষের জন্যই কাজ করেন। নির্বাচন আসলে ইসলামের কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার দিন শেষ হয়ে গেছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা সমিতির সভাপতি হিসেবে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। এছাড়া বক্তব্য দেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল আজিজ, ইসলামিক স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ, নারায়ণগঞ্জ জেলা কুরআনের সুরের আহ্বায়ক মো. আনোয়ার হোসেনসহ বিভিন্ন বিষয়ে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা।