শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি – সাধারণ সম্পাদকের পাল্টাপাল্টি বহিস্কারের অভিযোগ

আওয়ামী লীগের ভাতৃপ্রতিম সংগঠন শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি – সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে পাল্টাপাল্টি বহিষ্কারের অভিযোগ উঠেছে। শ্রমিক লীগ সাধারণ সম্পাদক আজম খসরু অভিযোগ করেছেন, ২২ জানুয়ারি শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তাকে না জানিয়ে বৈঠক করেছেন এবং সেখানে তাকে অপসারণ করে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (১)  কে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়েছেন। সাধারণ সম্পাদককে না জানিয়ে বৈঠক করার কথা জানালেও সেই বৈঠকে সাধারণ সম্পাদককে অপসারণের কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুর কুতুব আলম মান্নান।

এদিকে গতকাল ২৫ জানুয়ারি শ্রমিক লীগ সাধারণ সম্পাদক আজম খসরু শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুর কুতুব আলম মান্নান সহ কেন্দ্রীয় কমিটির চারজনকে বহিষ্কার করেন এবং ২৬ জানুয়ারি সংগঠনের সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহমেদকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ঘোষণা করে গণমাধ্যমে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেন।

সংগঠনের সভাপতিকে সাধারণ সম্পাদক বহিষ্কার করতে পারেন কিনা  জানতে চাইলে আজম খসরু পলিটিক্সনিউজকে বলেন, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুর কুতুব আলম মান্নান আমাকে সংগঠন থেকে অপসারণ করে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদককে ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি সম্মেলনে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। প্রথমে তিনি আমাকে অপসারণ করতে পারেন কিনা তাকে প্রশ্ন করুন। তিনি শ্রমিক লীগের কোন কার্যক্রমে থাকেন না। তিনি ভাই লীগ করেন। শ্রমিক লীগের সভাপতি মারা যাওয়ার পর জনাব নুর কুতুব আলম মান্নানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়, কিন্তু তারপর থেকে তিনি সব নিয়ম লঙ্ঘন করে ভাইলীগ করায় ব্যস্ত। তাই শৃঙ্খলা  ভঙ্গের অভিযোগে ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কার্যকলাপের অপরাধে তাকেসহ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ( ১)  জনাব খান সিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (৩)  জনাব বি এম জাফর ও  দপ্তর সম্পাদক জনাব  ফজলুল হক কে জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি  থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানাতে চাইলে শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুর কুতুব আলম মান্নান বলেন, সাধারণ সম্পাদক কোন কাজে আমাদের সহায়তা করেন না।  গত ২২ জানুয়ারী  শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল করতে  আলাপ আলোচনা করেছি। তবে সেখানে তাকে বহিষ্কার বা অপসারণের কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। এমন কোন লিখিত চিঠি কেউ দেখাতে পারবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর করা কমিটির সভাপতি – সাধারণ সম্পাদককে এভাবে কি কেউ বহিষ্কার করতে পারে? চিলে কান নিয়েছে শুনে তিনি ফেসবুকে আমাকে সহ চারজনকে বহিষ্কার করেছেন বলে দেখেছি। এটা দুঃখজনক।