নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান শ্রমিক লীগের

সারা দেশের নেতাকর্মীদের সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নূর কুতুব আলম মান্নান ও সাধারণ সম্পাদক কে এম আযম খসরু। সেই সঙ্গে তারা দেশি ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করার আহ্বান জানিয়েছেন।

রোববার (৩০ জানুয়ারি) এক যৌথ বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান সংগঠনটির শীর্ষ দুই নেতা।

এর আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বৈঠকে মিলিত হন তারা। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন— আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম।

বিবৃতিতে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৯ সালের ১২ অক্টোবর শ্রমিক, মজদুর ও মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতীয় শ্রমিক লীগ প্রতিষ্ঠা করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধসহ স্বাধীন বাংলাদেশে সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে জাতীয় শ্রমিক লীগ।

এতে আরও বলা হয়, ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ১৯তম জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। করোনা মহামারির শুরু থেকে শ্রমিক লীগ শ্রমজীবী মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও জীবিকা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। সংগঠনের দুই প্রধান নেতা ফজলুল হক মন্টু এবং মোল্লা আবুল কালাম আজাদের মৃত্যুজনিত কারণে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনায় কিছুটা জটিলতা এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু সংবাদের কারণে সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। এসব বিভ্রান্তি ও সাংগঠনিক জটিলতা নিরসনের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের মাধ্যমে সব ভুল বোঝাবুঝি ও বিভ্রান্তির অবসান হয়েছে।

বিবৃতি তারা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় শ্রমিক লীগে কোনো বিভেদ বা কোন্দল নেই। একই সঙ্গে সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বিভেদ-অনৈক্য ভুলে গিয়ে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানানো যাচ্ছে।