২০২১ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হবে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি (রোববার)।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এ তথ্য জানিয়েছেন।
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল ৮ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রকাশ করতে প্রস্তাব করে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। এই প্রস্তাবনা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সময় দেওয়া সাপেক্ষে ফল প্রকাশের তারিখ চূড়ান্ত করা হয়।
রেওয়াজ অনুযায়ী, শিক্ষামন্ত্রী বোর্ড চেয়ারম্যানদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পরীক্ষার ফল হস্তান্তর করেন। পরে শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করে ফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
সাধারণত প্রতিবছর এপ্রিলের শুরুতে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু করা হয়। তবে, করোনার কারণে ২০২১ সালের সংশোধিত ও পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসে গ্রুপভিত্তিক ৩টি নৈর্বাচনিক বিষয়ে ৬টি পত্রে পরীক্ষা হয়।
বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এর কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার্থীদের মধ্যকার সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে এবছর বিজ্ঞান বিভাগ, মানবিক বিভাগ, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের পরীক্ষার্থীদের একই সময়ে পরীক্ষা গ্রহণ না করে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছিল।
সারা দেশে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬৯০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর তত্ত্বীয় বিষয়ে পরীক্ষা ২ ডিসেম্বর শুরু হয়ে ৩০ ডিসেম্বর শেষ হয়। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা ২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১৯ ডিসেম্বর শেষ হয়েছিল। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা ২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে ৮ ডিসেম্বর শেষ হয়। এবছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডে ৯ হাজার ১৮৩টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ২ হাজার ৬২১টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেয়। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ২৯ হাজার ৭৩৮ জন এবং ছাত্রী ৬ লাখ ৬৯ হাজার ৯৫২ জন।
৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এইচএসসিতে ১১ লাখ ৩৮ হাজার ১৭ জন, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের আলিম পরীক্ষায় ১ লাখ ১৩ হাজার ১৪৪ জন এবং কারিগরিতে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫০৩ জন অংশ নেয়। ২০২০ সালে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন। গতবারের তুলনায় মোট পরীক্ষার্থী বেড়েছে ৩৩ হাজার ৮৭৫ জন। মোট প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ১২০টি এবং কেন্দ্র বেড়েছে ২০টি। বিদেশের ৮টি কেন্দ্রের মোট পরীক্ষার্থী ৪০৬ জন। এর মধ্যে জেদ্দা ১১৪, রিয়াদ ৭৪, ত্রিপলী ২, দোহা ৭৯, আবুধাবী ৩৪, দুবাই ২৬, বাহরাইন ৫৮, ওমানের সাহামে ১৯ জন।