আমার ইচ্ছে দেশের প্রতিটি বিভাগে মেরিন একাডেমি চালু হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার ইচ্ছে আছে দেশের প্রতিটি বিভাগে একটি করে মেরিন একাডেমি চালু হবে। আমাদের ছেলেমেয়েরা শুধু প্রশিক্ষিত হবে না, দেশে বিদেশে চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।

বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির ৫৬তম ব্যাচের ক্যাডেটদের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ (মুজিববর্ষ গ্র্যাজুয়েশন প্যারেড) অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে মেরিন একাডেমিতে কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সে সালাম গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলেছি। ডিজিটাল পদ্ধতিতে আপনাদের সামনে এসেছি। করোনাকালে আমরা অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে পেরেছি ডিজিটাল বাংলাদেশের কারণে। বাঙালি জাতিসত্তা প্রতিষ্ঠা ও স্বাধীন দেশ উপহার দিয়ে গেছেন বঙ্গবন্ধু। ৭ মার্চের ভাষণে যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা অনুসরণ করে এদেশের মানুষ বিজয় অর্জন করে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তুলেছিলেন বঙ্গবন্ধু। সাড়ে ৩ বছর সময় পেয়েছিলেন। সমুদ্রসীমা অর্জনের পরিকল্পনা করেছিলেন। পাকিস্তান সরকার এ মেরিন একাডেমি করাচিতে স্থানান্তর করেছিল।

‘জাতির পিতা ১৯৭৩ সালে এ একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন। বিএসসি প্রতিষ্ঠা করেন। চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের মাইন মুক্ত করে বন্দর চালু করেছিলেন। বিশেষ করে রাশিয়া এ কাজে সহায়তা করে, তাদের দুইজন এক্সপার্ট মারাও যান। ড্রাইডকের নির্মাণকাজ শুরু করেন। বিএসসির জন্য ১৯টি জাহাজ সংগ্রহ করেন। সাগরে তেল গ্যাস অনুসন্ধান শুরু করেন। জাতির পিতার গড়া আইন ছিল বিশ্বের অনেক দেশের মেরিটাইম সীমা নির্ধারণে সহায়ক। জাতিসংঘ স্বল্পতম সময়ে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের স্বীকৃতি দিয়েছিল। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। আমরা আপনজন হারিয়েছি, দেশ হারিয়েছিল উন্নয়ন। এরপর যারা এসেছিল দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতিতে ব্যস্ত ছিল’।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রথমবার সরকার গঠন করে ব্যাপক পদক্ষেপ নিই। আমাদের সরকারের নানা উদ্যোগের ফলে একাডেমি সাদা তালিকাভুক্ত হয়। পরে যখন আবার সরকার গঠন করি ২০১২ সালে নারী ক্যাডেট ভর্তি শুরু করি। তারা সুনামের সঙ্গে কাজ করছে। বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির বিশ্বে গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে। আশাকরি হাইটেক সমুদ্রগামী জাহাজ পরিচালনার কারিকুরাম মেরিন একাডেমি চালু করবে।

ক্যাডেটদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তোমরা বাংলাদেশের দূত হিসেবে কাজ করো। তোমাদের সততা দক্ষতা পরবর্তী ক্যাডেটদের পাথেয় হয়ে থাকবে।

বিশেষ অতিথি ছিলেন নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী।