এ সরকার সংবিধানকে কেটে ছিঁড়ে ছিন্নভিন্ন করেছে: মির্জা ফখরুল

জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া ও দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য সদ্য বিদায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার অবশ্যই বিচার হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শেরপুরের নালিতাবাড়িতে ফসলের মাঠে কৃষক শফিউদ্দিনের আত্মহত্যা, ফ্যাসিবাদী শাসনের নির্মম বাস্তবতা ও দায়ীদের শাস্তির দাবিতে এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এ সরকার সংবিধানকে কেটে ছিঁড়ে ছিন্নভিন্ন করেছে। আমলাতন্ত্র প্রশাসন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণভাবে দলীয়করণ করেছে। নির্বাচন ব্যবস্থা তছনছ করে দিয়েছে। এখন তারা আবার নির্বাচিত হওয়ার জন্যে তাদের মতো করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করবে। সেই কমিশন গঠন করার জন্য সার্চ কমিটি গঠন করেছে আইনও তৈরি করেছে। সবগুলোই জনগণকে বোকা বানানোর জন্য। সার্চ কমিটিতে সব তাদের লোক। আজকে নাকি রাষ্ট্রপতির কাছে নামগুলো পাঠাবে। যাদের দিয়ে ইসি গঠন করা হবে। দেখা যাবে তারাও সেই হুদার মতো লোক। তার বিচার করতে হবে। দেশের মানুষের ভোটের অধিকারকে কেড়ে নেওয়া, নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য তারতো বিচার হতেই হবে। তাকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে এ দেশে যে নৈরাজ্য, দুঃশাসন, ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে এবং তাদের চরম ব্যর্থতার কারণে আজকে দেশের অর্থনীতি যে জায়গায় পৌঁছেছে সেখানে এ দেশের সামগ্রিক যে আত্মা তারই আত্মহত্যার মতো একটা ঘটনা ঘটেছে।।

বিএনপির মহাসচিব ফখরুল বলেন, দেশকে ধ্বংস করার কারণে এ সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিতে হবে। সেই নিরপেক্ষ সরকার নতুন করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করবে। সেই নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নির্বাচন হবে এবং জনগণের সত্যিকারের প্রতিনিধিরা এসে দেশ পরিচালনা করবেন।

কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের পরিচালনায় প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য দেন কৃষক দল নেতা অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী, নাসির হায়দার, খলিলুর রহমান প্রমুখ।