বিএনপি অন্ধকার চোরাবালির পথে ক্ষমতার মসনদে বসতে চায়: আব্দুর রহমান

বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে পিছন দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়। নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে করে অন্ধকার চোরাবালির পথে ক্ষমতার মসনদে বসতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান।

তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচন করতে চায় না। তারা আমাদের হুমকি দেয় আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে। এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচন না হলে তারা আর এই দেশে নির্বাচন হতে দেব না। তারা এই দেশের মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। মানুষের উপর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছে। ১৩৭ জন মানুষ ওদের অগ্নিসন্ত্রাসের কাছে জিম্মি হয়ে জীবন দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার ( ২৪ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে সিরাজগঞ্জ কাজিপুর উপজেলা পরিষদ মাঠে উপজেলা শাখা’র ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

আব্দুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একটা নেতাকর্মী বেঁচে থাকতে ওদের
আর বাংলাদেশের মাটিতে সন্ত্রাস করতে দেয়া হবে না। বাংলার মাটিতে ওদেরকে নিশ্চিহ্ন করা হবে।
ইনশাল্লাহ নির্বাচন কমিশনের অধিনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ এবং অবাধ সুষ্ঠ নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।

তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি সেই নির্বাচনে এই বাংলার ১৬ কোটি মানুষ যারা শেখ হাসিনার উন্নয়নের সুফল পেয়েছে, তারা আগামী নির্বাচনেও শেখ হাসিনাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে ম্যান্ডেট দেবে এবং তিনি আবারও সরকার গঠন করবেন।

নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই বিষধর সাপদের মোকাবেলা করতে হলে শুধু অন্য কারো উপর নির্ভর করলে হবে না। আজকে বিষধর সাপদের মোকাবেলা করতে হলে এক একটা মোহাম্মদ নাসিম তৈরি হতে হবে। কাজীপুরে আপনারা সেইভাবে প্রস্তুত হবেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিমের স্মৃতিচারণ করে বলেন, আজ মোহাম্মদ নাসিম যদি বেঁচে থাকত আমি জানতাম সমস্ত কাউন্সিলর ডেলিগেট-ভাইয়েরা আপনারা বলতেন, আমাদের নেতা যেই নেতৃত্ব ঠিক করে দেবে সেই নেতৃত্বের পিছনে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব। কিন্তু সেই মোহাম্মদ নাসিম নাই।

সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কে. এম হোসেন আলী হাসান। অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মেলন পরিচালনা করেন খলিলুর রহমান সিরাজী।

সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা, প্রধান বক্তা হিসাবে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ তালুকদার।