সিরাজগঞ্জ জেলা আ.লীগে সাধারণ সম্পাদক পদে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে সুইট

দীর্ঘ ৭ বছর পর আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে সিরাজগঞ্জ জেলার ত্রিবার্ষিক সম্মেলন। এ সম্মেলনকে ঘিরে ইতোমধ্যে রাজনৈতিক উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে পুরো জেলা। নেতা-কর্মিদের মাঝে বিরাজ করছে উৎসবরে আমেজ।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এই সম্মেলন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওইদিন সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনকে ঘিরে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হয়েছেন। জেলা শহরের প্রতিটি রাস্তায় তৈরি করা হয়েছে বিশাল বিশাল তোরণ। ইতোমধ্যেই পদপ্রত্যাশীদের ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে পুরো জেলা।

এবার জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে সভাপতি পদে ৪ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ৫ জন মোট ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সভাপতি পদে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট কেএম হোসেন আলী হাসান, সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, সহসভাপতি সিরাজগঞ্জের জজকোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা বিমল কুমার দাস। সাধারণ সম্পাদক পদে জেলা আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সাধারণ সম্পাদক আলহাজ আব্দুস সামাদ তালুকদার, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সহ-সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সুইট, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক ড. জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক শামসুজ্জামান আলো, জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ফারুক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

তবে এদের মধ্যে প্রচার-প্রচারণা থেকে শুরু করে গ্রহণযোগ্যতার দিক সাধারণ সম্পাদক পদে কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সহ-সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সুইট সর্ব দিকে এগিয়ে রয়েছেন। আওয়ামী লীগের পাশাপাশি সহযোগী সকল অংগ সংগঠনে রয়েছে তার ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা।

সাখাওয়াত হোসেন সুইট ছাত্রজীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারন করে ছাত্র রাজনীতি যুক্ত হন। ১৯৮৫ সালে তিনি সর্ব প্রথম বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সিরাজগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখার সদস্য ছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সাধারণ সম্পাদক হয়ে কৃতিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করেন।

পরবর্তীতে বাংলাদেশ কৃষকলীগ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য,কৃষিপণ্য ও ফসল বিষয়ক সম্পাদক,রায়গঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য, বাংলাদেশ কৃষকলীগ কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ কৃষকলীগ কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) পরিচালনা বোর্ডের সদস্য ও বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ ঢাকা মহানগর শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি একাধিক বার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারতে অংশগ্রহণ করেনে। এ ছাড়া
আশির দশক থেকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৫ সালে ভাত ও ভোটের অধিকার আন্দোলন, ২০০১ সালে নির্বাচনের পর থেকে দুঃশাসক খালেদা জিয়া সরকারের পতন পর্যন্ত ধারাবাহিক গণতান্ত্রিক আন্দোলন, ২০০৭ সালে ওয়ান-ইলেভেনের পর গণতন্ত্র পুনরোদ্ধারে আন্দোলনরত নেতৃত্বরত অবস্থায় জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের পর সকল প্রতিবাদ কর্মসূচিতে তার সক্রিয় ভূমিকা ছিলো।

এ বিষয়ে সাখাওয়াত হোসেন সুইট বলেন, আমি একজন আওয়ামী পরিবারের সন্তান। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক।  ছাত্রজীবন থেকে আমি ছাত্র রাজনীতি করেছি। দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে সব সময় কাজ করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি আমাকে এ দায়িত্ব দেয় আমি যথার্থ ভাবে সেটা পালন করবো।

তিনি বলেন, আশির দশকের পর প্রতিটি আন্দোলনে আমি মাঠে ছিলাম। শেখ হাসিনার নির্দেশে সব সময় কাজ করেছি। ২০১০-১৫ সালে খালেদা জিয়া কর্তৃক আন্দোলনের নামে নাশকতা, জ্বালাও পোড়াও কর্মসূচী প্রতিহত করতে নিজ এলাকায় মিাঠে ছিলাম। আমার কাছে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।