দেশে ভোজ্য তেলের বাজারে আগুন। লাফিয়ে-লাফিয়ে বাড়ছে ভোজ্য তেলের মূল্য। আবারো ভোজ্য তেলের মুল্য ১২টাকা বৃদ্ধির ব্যবসায়ীদের সিদ্ধান্ত প্রমান করে সরকারের চাইতে লুটেরা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট অনেক বেশী শক্তিশালী বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ভোজ্য তেল নিয়ে তেলেসমাতি বন্ধ করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে দলটির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ আহ্বান জানান।
তারা বলেন, সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেও ভোজ্য তেলের সিন্ডিকেট ভাঙতে ব্যর্থ হয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন। আবারো ১২ টাকা মুল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্তে স্পষ্ট সরকার সিন্ডিকেট ভাঙতে পারেনি। সিন্ডিকেটদের কাছে সরকার অসহায়। দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন অজুহাতে তেলের মূল্য বৃদ্ধি করে বাজারে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির মাধ্যমে জনগনের পকেট কেটে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।
নেতৃদ্বয় বলেন, দীর্ঘদিন করোনায় জনজীবন বিপর্যস্থ, বেকারত্ব, দারিদ্রতা বৃদ্ধি পেলেও সরকারী দলের নেতা আর লুটেরা গোষ্ঠীর লুটপাট অব্যাহত রয়েছে। সরকার বাজারে কোনো কিছুর নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। লুটেরা ব্যাবসায়ীরা যার যা খুশি তাই করছে। ব্যবসায়ীরা একেক সময় একেক পণ্যের মুল্যবৃদ্ধি করে জনগনের পকেট কাটছে। চাল-ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি, আদা-ময়দাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষ যখন অতিষ্ট, তখন আবারো ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধি জনজীবনকে আরো দুর্বিসহ করে তুলবে।
তারা বলেন, সরকারের মনে রাখা উচিত, কোনো লুটেরা ব্যবসায়ারীরা সাধারণ মানুষের কথা ভাবেন না। তারা শুধু লুট করতে চান। ভোজ্যতেল সিন্ডিকেট সরকারের দুর্নীতিবাজদের সমর্থন নিয়ে তেলের মূল্যবৃদ্ধি করেই চলেছেন। সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা জনগণের পক্ষে থাকবে নাকি লুটেরা ব্যবসায়ীদের পক্ষ নেবে।