বিশিষ্টজনদের পরামর্শের তোয়াক্কা না করে সরকারের বিশেষ সুবিধাভোগী ও অনুগত ব্যক্তিদেরই নতুন নির্বাচন কমিশনে (ইসি) কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সার্চ কমিটির বৈঠকে অংশ নেওয়া বিশিষ্ট নাগরিকদের পরামর্শ ছিলো, সরকারের বিশেষ সুবিধাভোগী ও সদ্য অবসরে যাওয়া কোনো ব্যক্তিকে যেন নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া না হয়। অথচ নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনের চারজনই সরকারের বিশেষ সুবিধাভোগী। এমনকি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে রয়েছে আইন না মানাসহ বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ। তাই গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক ঐক্যমতের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের জোর দাবি জানাই।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল তিনটায় রাজধানীর বিজয়নগরে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন ও চলমান পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির আদলে সরকারি দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দিয়ে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে। সার্চ কমিটি বিভিন্ন ব্যক্তি ও দলের প্রস্তাবিত ৩২২ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করলেও চূড়ান্ত ১০ জনের তালিকা প্রকাশ করেনি। যা তাদের কাজের অস্বচ্ছতারই বহিঃপ্রকাশ।
চলমান রোহিঙ্গা সংকট সমাধানসহ ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতায় দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে স্থিতিশীল রাজনৈতিক অবস্থা ও শক্তিশালী গণতন্ত্রের বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন নুরুল হক নুর। অনতিবিলম্বে সব রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে দেশের চলমান সংকট নিরসনে পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া, যুগ্ম-আহ্বায়ক রাশেদ খাঁন, ফারুক হাসান, মাহফুজুর রহমান খান, মো. সোহরাব হোসেন, মাহফুজুর খান, সহকারী আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নূরে এরশাদ সিদ্দিকী প্রমুখ।