
গাইবান্ধার বাপাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী বিরুদ্ধে কালো তালিকাভুক্ত হওয়া দরদাতাকে রেসপনসিভ ও অন্য এক প্রতিষ্ঠানকে অর্থের বিনিময়ে সর্বোচ্চ নাম্বার প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে কাজ দেওয়ার সুপারিস করার অভিযোগ করেছেন এসএসইসিএল -টিটিএস-কেএসএ জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি ।
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বরাবর এ বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছেন এসএসইসিএল-টিটিএস-কেএসএ জয়েন্ট ভেঞ্চারের অথরাইজড সিগনেটরী শাহাবুদ্দিন আহমেদ।
অভিযোগ পত্রে বলা হয়, গত ১৮-১২-২০২১ইং তারিখে গাইবান্ধা পাউবো বিভাগ কর্তৃক উল্লেখিত দরপত্রে মেসার্স এসএসইসিএল-টিটিএস-কেএসএ জয়েন্ট ভেঞ্চার প্রতিষ্ঠানের নামে যথাযথ নিয়ম কানুন প্রতিপালন সাপেক্ষে অংশ গ্রহণ করে। উক্ত দরপত্রে সর্বমোট ৪ জন দরদাতা অংশগ্রহণ করলেও ০২জন দরদাতা অযোগ্য ঘোষিত হবার কথা। কিন্তু বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় যে, শুধুমাত্র একজন দরদাতাকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে এবং অন্য একজন দরদাতা মেসার্স ইউনুস এন্ড ব্রাদার্স নামক প্রতিষ্ঠানটি চট্টগ্রাম অঞ্চলে বাপাউবো’তে Poor Performance ও Abandon of Work এর কারণে কালো তালিকাভুক্ত হওয়া সত্বেও অসৎ উদ্দেশ্যে নির্বাহী প্রকৌশলী তাকে রেসপনসিভ দেখানোর অপচেষ্টা করে যাচ্ছেন। যা আইনের দৃষ্টিতে অত্যন্ত অন্যায়, অযৌক্তিক ও ন্যায় বিচারের পরিপন্থী।
অভিযোগে আরও বলা হয়, অন্য একজন দরদাতা গোলাম রব্বানী ও হাসিবুল হাসান জয়েন্ট ভেঞ্চার এর নামে বাপাউবোতে ৮০০ কোটি টাকারও অধিক কাজ চলমান থাকা সত্ত্বেও Assessed Capacity নিয়মকে সম্পূর্ন অগ্রাহ্য করে নির্বাহী প্রকৌশলী আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠানকে Martix পদ্ধতিতে সর্বোচ্চ নাম্বার প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে কাজটি Award প্রদানের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর সুপারিশ করেছেন। যা সরকারী কর্মকর্তা হিসেবে তার দায়িত্বের বরখেলাপ। উক্ত নির্বাহী প্রকৌশলীর অতীত কর্মকাণ্ড সম্পর্কে বাপাউবো ও মন্ত্রনালয়ের সকল মহল অবগত আছেন।
প্রতিষ্ঠানটি ন্যায় বিচার পাবার কোন আশার আলো না দেখে মন্ত্রণালয়ের সর্বোচ্চ ব্যাক্তি হিসেবে প্রতিমন্ত্রীর কাছে আইন অনুযায়ী ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করেন।








