বাংলাদেশ ওয়ানডে স্ট্যাটাস পায় ১৯৯৭ সালে। তার পাঁচ বছর পর ২০০২ সালে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ওয়ানডে খেলার সুযোগ পায় টাইগাররা।
এরপর কেটে গেছে ২০টি বছর। এই ২০ বছরে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ১৪টি ওয়ানডে খেলেছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে হেরেছে ১৩টিই, একটি ম্যাচে ফল হয়নি। জয়ের দেখা পায়নি কোনো ম্যাচে।
শুধু ওয়ানডে কেন, দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে এতদিন কোনো ফরমেটেই জয় ছিল না টাইগারদের। অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হয়েছে।
২০ বছর অপেক্ষার পর প্রোটিয়াদের তাদেরই ঘরের মাঠে ওয়ানডেতে হারিয়ে দিয়েছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। তামিম ইকবালের নেতৃত্বে শুক্রবার রাতে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ।
ইতিহাসগড়া সেই জয়টাও যেনতেনভাবে আসেনি। এসেছে দাপুটে খেলেই। সেঞ্চুরিয়ানের সুপার স্পোর্টস পার্কে টস ভাগ্য বাংলাদেশের সহায় ছিল না। কিন্তু বাঘ যখন গর্জে উঠে, তখন কোনো বাধাই সামনে দাঁড়াতে পারে না।
পারলো না দক্ষিণ আফ্রিকাও। টস হেরে ৭ উইকেটে ৩১৪ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ। জবাবে ইনিংসের ৭ বল বাকি থাকতে ২৭৬ রানেই গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। বাংলাদেশ পায় ৩৮ রানের ঐতিহাসিক জয়।
শুধু এই জয়ই নয়। এদিন বেশ কয়েকটি রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। ৭ উইকেটে ৩১৪, দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এটিই টাইগাদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।
সাকিব আল হাসান আর ইয়াসির আলি রাব্বি চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১১৫ রান যোগ করেন, যা কিনা দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে যে কোনো উইকেটে বাংলাদেশের সেরা জুটির রেকর্ড।
এছাড়া এই ম্যাচে বাংলাদেশ তাদের ইনিংসে ১১টি ছক্কা মেরেছে। বিদেশের মাটিতে কোনো ওয়ানডে ইনিংসে টাইগারদের সর্বোচ্চ ছক্কা হাঁকানোর যৌথ রেকর্ড এটি।