সিলেট জেলা বিএনপির সম্মেলন পরবর্তী কাউন্সিলরদের ভোটে সভাপতি পদে কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম এবং সাধারণ সম্পাদক পদে সাবেক ছাত্রদল সভাপতি এমরান আহমদ চৌধুরী বিজয়ী হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) বেলা দেড়টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ পরবর্তী গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল গফফার।
তিনি বলেন, সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী ৮৬৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আবুল কাহের শামীম পেয়েছেন ৬৭৫ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী এমরান আহমদ চৌধুরী। তিনি পেয়েছেন ৭৯৮ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আলী আহমদ পেয়েছেন ৫৭৪ ভোট। এছাড়া অপর দুই প্রার্থী আফম কামাল ৭২ ও আব্দুল মান্নান ৮১ ভোট।
এছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৬২৩ ভোট পেয়ে শামীম আহমদ নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী মুজিবুর রহমান পেয়েছেন ৪৬৮ ভোট। এছাড়া লোকমান আহমদ পেয়েছেন ৪৩৯ ভোট।
সম্মেলন পরবর্তী কাউন্সিলররা গোপন ব্যালটের মাধ্যমে শীর্ষ ৩টি পদে নেতৃত্ব নির্বাচন নির্বাচন করেন। এরআগে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, মোট ১ হাজার ৮১৮ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১ হাজার ৫৬০ জন।
সকাল সাড়ে ১১টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা তাহসীনা রুশদির লুনা ও খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদারের সভাপতিত্বে ও বিএনপি সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলনের পরিচালনায় সমাবেশে এরপর অনুষ্ঠানের শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আব্দুল কাইয়ূম জালালী পংকী।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ডা. এনামুল হক চৌধুরী, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, তাহসিনা রুশদীর লুনা, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাখাওয়াত হাসান জীবন, সহ ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, কেন্দ্রীয় সদস্য সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, বগুড়া পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বাদশা ও আবুল কাহের চৌধুরী শামীম।