বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার বলেছিল, আপনাদের ১০ টাকা কেজি চাল দেবে। কিন্তু এখন চালের কেজি ৭০ টাকা। তেল, লবণ, চিনির দাম কত? বাড়তি দামের কারণে রমজানে এখন আমরা একটা শসা কিনতে পারি না, বেগুন কিনতে পারি না।
কিন্তু দুঃখ হয়, যখন প্রধানমন্ত্রী আমাদের রান্নার নতুন রেসিপি দেন। তিনি বলেছেন, ‘মিষ্টি কুমড়া দিয়ে বেগুনি বানাও’। যখন তারা পণ্যের দাম কমাতে পারছে না, তখন এসব কথা বলছে।
শনিবার (৯ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, গতকাল তথ্যমন্ত্রী আরেকটি তত্ত্ব আবিষ্কার করেছেন গতকাল। মূল্য বৃদ্ধির পেছনে নাকি বিএনপির কারসাজি আছে। সবসময় তথ্যমন্ত্রী এটা বলেন। সবকিছুতে যদি বিএনপিই থাকে তাহলে তোমরা ক্ষমতায় বসে আছো কেন? ক্ষমতা ছেড়ে দাও, বিএনপির হাতে ক্ষমতা দিয়ে দেখ, বিএনপি দেশ চালাতে পারে কিনা।
তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এটি আজ নতুন না। ১৯৭২ থেকে ৭৫ সাল পর্যন্ত যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল তখনও একই চিত্র ছিল। ১৯৭৪ সালে আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনা করতে না পারায় তখন দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। আওয়ামী লীগের ইতিহাসটাই এমন। তাদের ইতিহাস চুরির, লুটপাটের ও ডাকাতির। মানুষকে জিম্মি করে তারা ক্ষমতায় যায় এবং তাদের আখের গোছায়।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজ পত্রিকায় আছে গ্যাসের দাম বাড়ার কারণ হলো প্রতি বছর ২০ কোটি টাকার গ্যাস চুরি হচ্ছে। এটা জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ম. তামিম বলেছেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে এখন যারা ক্ষমতায় আছে তাদের গ্যাস উত্তোলন করার কোনো ইচ্ছা নাই। কারণ আমদানি করলে অনেক বেশি পয়সা পাওয়া যায়। বাংলাদেশের যিনি গ্যাস আমদানি করেন তার নামটি বলবার দরকার নেই। অনেকে তাকে ‘দরবেশ’ বলে ডাকেন। সেই দরবেশ আমাদের শেয়ার-মার্কেট লুট করেছে। এখন গ্যাস আমদানি করে দেশে গ্যাস উত্তোলনের সম্ভাবনাকে নষ্ট করছে। তারা এখন মানুষের পকেট থেকে টাকা কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এই সরকার হচ্ছে সেইসব লোকেদের সরকার, যারা কিছু লোককে বড়লোক করতে গোটা রাষ্ট্রব্যবস্থাকে ব্যবহার করছে। এই কাজে যারা বাধা দিচ্ছে, তাদের গ্রেফতার করছে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করছে।