রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৩ মে) ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।
কমিটিতে সহ-সভাপতি পদ পেয়েছেন সুস্মিতা বাড়ৈ। তিনি বিবাহিত হয়েও এ পদ পেয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্য চাওয়ায় জাগো নিউজের সংবাদকর্মীকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন সুস্মিতা বাড়ৈ।
প্রাপ্ত অভিযোগ অনুসারে, ২০১৮ সালের ১ জুলাই চিরঞ্জিৎ রায় নামে এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেন সুস্মিতা। নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে তাদের দুজনের করা ‘হিন্দু বিবাহের হলফনামা’র একটি কপিও জাগো নিউজের হাতে এসেছে। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিবাহিত কেউ ছাত্রলীগের পদ পাওয়ার সুযোগ নেই।
এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তা অস্বীকার করেন সুস্মিতা বাড়ৈ। তার বিরোধীপক্ষ এই হলফনামা বানিয়ে ছেড়ে দিয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। সুস্মিতা বাড়ৈ বলেন, এ ধরনের কাবিননামা নীলক্ষেতে গেলে একশ টাকা দিয়ে বানানো যায়।
এসময় মামলার হুমকি দিয়ে এই নেত্রী বলেন, যদি কোনো সাংবাদিক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে নিউজ করে, আমি অবশ্যই সেই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করবো।
তবে চিরঞ্জিৎ রায়কে নিজের ‘বয়ফ্রেন্ড’ বলে স্বীকার করেন সুস্মিতা। একপর্যায়ে জাগো নিউজের সংবাদকর্মীকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন তিনি। সুস্মিতা বলেন, ‘আমার নামে নিউজ করলে ভেবেচিন্তে করবেন।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইডেন মহিলা কলেজের নতুন কমিটির এক সহ-সভাপতি বলেন, ‘সুস্মিতা বিবাহিত এটা ক্যাম্পাসের সবাই জানে। ওর বিয়ের কাবিননামাও অনেকে দেখেছে। বিবাহিত হয়েও সে কীভাবে পদ পেলো জানি না।’
সুস্মিতা বাড়ৈর বিরুদ্ধে আগে থেকেই ইডেন কলেজে সিট বাণিজ্য, ছাত্রীদের মারধর, মাদকসেবনসহ নানা অভিযোগ আছে। এসব কারণে তিনি বেশ কয়েকবার খবরের শিরোনামও হয়েছেন। ইডেন কলেজের সামনে এক পথচারীকে পেটানোর অভিযোগও ওঠে সুস্মিতার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি ‘ছাত্রলীগ পরিচয়ে নারীকে পেটানোর অভিযোগ ইডেনের তিন ছাত্রীর বিরুদ্ধে’ শিরোনামে সংবাদও প্রকাশ হয়।