বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও ইডেন মহিলা কলেজে ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটিতে পদ পেয়েছেন সুস্মিতা বাড়ৈ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে এক সাংবাদিকের সঙ্গে অসদাচরণ করেন তিনি। তার সঙ্গে ওই সাংবাদিকের একটি কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এর জের ধরে ফেসবুকে ক্ষমা চেয়েছেন ছাত্রলীগের এই নেত্রী।
গত শুক্রবার (১৩ মে) ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ওই কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে সহ-সভাপতি পদ পেয়েছেন সুস্মিতা বাড়ৈ।
কমিটিতে পদ পাওয়ার বিষয়ে মন্তব্য চাওয়া হলে ওই সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন সুস্মিতা বাড়ৈ। সেই কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নিজের ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে সবার কাছে ক্ষমা চান তিনি।
রোববার ফেসবুকে দুঃখপ্রকাশ করে সুস্মিতা বলেন, ‘যে কল রেকর্ডটা ফাঁস হয়েছে, তখন আমার কমিটির প্রেসারে মানসিক অবস্থা ভালো ছিল না। আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলাম। যার কারণে সাংবাদিক ভাইয়ের সাথে খারাপ ব্যবহার করে ফেলেছি, যার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী। ’
এর আগের দিন আরেক পোস্টের মাধ্যমে সুস্মিতা বাড়ৈ বলেন, ‘কাল (শুক্রবার) যখন ইডেন কলেজের কমিটি হয়। তারপর থেকেই কল আসা শুরু হয়। একের পর এক কল কেউ অভিনন্দন দিচ্ছেন কেউ বা খোচা দিচ্ছেন কেউ বা বাজে কথা বলছেন। একটা পর্যায়ে আমি বিরক্ত হয়ে ফোনে সাংবাদিক ভাইকে কথাগুলো বলেছি, যেটা সম্পূর্ণ আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কথাগুলো বলেছি। ’
২০১৮ সালের ১ জুলাই চিরঞ্জিৎ রায় নামে এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেন সুস্মিতা। নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে তাদের দুজনের করা ‘হিন্দু বিবাহের হলফনামা’র একটি কপিও পাওয়া যায়। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিবাহিত কেউ ছাত্রলীগের পদ পাওয়ার সুযোগ নেই।
এ বিষয়ে সুস্মিতার বক্তব্য জানতে চান এক গণমাধ্যমকর্মী। অভিযোগ অস্বীকার করেন সুস্মিতা। তার বিরোধীপক্ষ এই হলফনামা বানিয়ে ছেড়ে দিয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। এ সময় তিনি ব্যাখ্যা দেওয়ার পর আরেক ছাত্রলীগ নেত্রীর বিষয়ে পাল্টা অভিযোগ দেন। পরে ওই গণমাধ্যমকর্মীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
কথোপকথনের অডিও কল রেকর্ডটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায় মুহূর্তেই। এরই এক পর্যায়ে আত্মপক্ষ সমর্থন ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন সুস্মিতা বাড়ৈ।