জিয়া স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের নিয়ে যে দল গঠন করেছে তার নাম বিএনপি: এস এম কামাল

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেছেন, ১৯৭৫ সাল ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্মম ভাবে হত্যা করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিল বিশ্বাসঘাতক জিয়াউর রহমান। অবৈধ জিয়াউর রহমানের অবৈধ ক্ষমতার দাপটে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিলো। সে সময় তিনি স্বাধীনতা বিরোধী, মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের আর অতি- বিপ্লবীদের নিয়ে যে দল গঠন করেছিলেন তার নাম বিএনপি।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান রাতের অন্ধকারে ক্ষমতা দখল করে নিজেকে স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি ঘোষনা করেন। মিথ্যা হ্যা/না ভোটের মাধ্যমে নিজের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করেন। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শতশত সামরিক বাহিনীর ও বিমান বাহিনীর অফিসারকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছেন। মসনদে বসে জিয়াউর রহমান মানুষের ভোটের অধিকার ও ভাতের অধিকার কেড়ে নিয়ে সংবিধানকে ভূলুণ্ঠিত করেছিলেন।

মঙ্গলবার ( ১৭ মে ) গণতন্ত্রের মানসকন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এস এম কামাল বলেন, অবৈধ জিয়াউর রহমানের অবৈধ ক্ষমতার দাপটে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে মন্দিরে, মসজিদে, গীর্জায়, প্রার্থনা করেছেন নিজেদেরকে রক্ষা করার জন্য। ঠিক তখনই দেশে ফিরে আসেন আলোর দিশারী হিসাবে ১৯৮১ সালের ১৭ই মে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার আগমনে সেদিন প্রকৃতি কেঁদেছিল, রাস্তায় নেমেছিল মানুষের ঢল। সেদিন বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করেছিলেন বাংলাদেশ আবার জেগে উঠবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। শেখ হাসিনা এসেছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার পেয়েছে শেখ হাসিনা এসেছিলেন বলেই মানুষ তার ভোটের অধিকার গণতন্ত্রের অধিকার ফিরে পেয়েছি, জাতীয় চার নেতার হত্যার বিচার হয়েছে, যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নাম লিখিয়েছেন। বিশ্বের রাজনীতিতে বাংলাদেশ একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। যে বাংলাদেশকে একদিন বিদ্রুপ করে বলা হয়েছিল তলাবিহীন ঝুড়ির বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। শেখ হাসিনা জন্যই বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন, স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র নির্মাণ করেছেন। সীমান্ত চুক্তি হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি হয়েছে, সমুদ্র বিজয় করেছেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন, বঙ্গবন্ধু ট্যানেল নির্মাণ করেছেন, মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন করেছেন। বাংলাদেশের যত উন্নয়ন যত অর্জন জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যারা রাতের অন্ধকারে ক্ষমতায় যেতে চায়, দেশের উন্নয়ন দেখলে যাদের গাত্রদাহ হয় তারাই জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তারা দেশে বিদেশে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে মোকাবেলা করতে হবে।

এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মাননীয় মেয়র জনাব এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।