দোনেৎস্কের লিমান শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রাশিয়া। এর ফলে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে আরও একটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিলো তারা। কিয়েভ জানায়, শহরটির নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর সেখান থেকে সরে আসার চেষ্টা করছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।
পূর্বাঞ্চলে রুশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে শহরটির কৌশলগত ভূমিকা রয়েছে। মূলত রেল যোগাযোগের জন্য লিমান গুরুত্বর্পূণ শহর। অনেক আগে থেকেই শহরটি দখলে নেয়ার লক্ষ্য ছিলো রুশপন্থী বিদ্রোহীদের। এছাড়াও পূর্বাঞ্চলের সেভেরো-দোনেৎস্ক এবং লিসিচানস্ক শহর দখলের পথে অনেকটাই এগিয়েছে রুশ বাহিনী।
এদিকে, ইউক্রেনের দখলকৃত খেরসন ও জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের বাসিন্দাদের রুশ নাগরিকত্ব ও পাসপোর্ট দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি। যদিও এমন কার্যক্রমকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে মনে করছে কিয়েভ। কিয়েভের দাবি, এর মাধ্যমে ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করছে মস্কো। রুশ সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী অধ্যুষিত দোনেৎস্ক ও লুহানস্কে ২০১৯ সাল থেকেই পাসপোর্ট ইস্যু করছে রাশিয়া। এ পর্যন্ত প্রায় ৮ লাখ মানুষকে পাসপোর্ট দেয়া হয়েছে। নতুন করে আবেদনকারীদের তহবিলে অর্থ থাকা বা ভাষা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ারও প্রয়োজন পড়ছে না বলেও জানিয়েছে কিয়েভ।