ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি পদে আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন এম এ মজিদ ওরফে বড় মজিদ। এবার গোপন ব্যালটে ভোটের মাধ্যমে জাহিদুজ্জামান ওরফে মনা সাধারণ সম্পাদক এবং সাজেদুর রহমান ওরফে পপ্পু সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
শনিবার ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডাকবাংলা বাজারের আবদুর রউফ ডিগ্রি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত জেলা বিএনপির সম্মেলনে এ দুই পদে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়।
আবদুল মজিদ বিশ্বাস ওরফে ছোট মজিদের চেয়ে ৫৩ ভোট বেশি পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন জাহিদুজ্জামান। তিনি ভোট পেয়েছেন ৫১৭টি আর আবদুল মজিদ বিশ্বাস পেয়েছেন ৪৬৪টি। এই পদে অপর প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুল আলিম পেয়েছেন ১২১ ভোট।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে শাহজাহান আলীকে ১৬৩ ভোটে পরাজিত করেন সাজেদুর রহমান। তিনি পেয়েছেন ৫২৬ ভোট আর শাহজাহান আলী পেয়েছেন ৩৬৩ ভোট। ২৫ মে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি হন এম এ মজিদ। সম্মেলনে দুই পদের ভোটাভুটি শেষে বিকেলে তিনজনের নাম একসঙ্গে ঘোষণা করা হয়।
দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, দীর্ঘ ছয় বছর পর ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি পদে এম এ মজিদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেও সাধারণ সম্পাদক পদে চারজন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। তাঁরা হলেন আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুজ্জামান ওরফে মনা, পৌর বিএনপির সভাপতি আবদুল মজিদ বিশ্বাস, উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামাল আজাদ এবং সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল আলিম।
কামাল আজাদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে যাওয়ায় মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তিনজন। আর সাংগঠনিক সম্পাদক পদে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাজেদুর রহমান ওরফে পপ্পু ও পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান আলী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। জেলার মোট ১ হাজার ১১ জন ভোটার নেতা নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মসিউর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল ওহাব, কেন্দ্রীয় বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, সহতথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল প্রমুখ।