হলের টিভি রুম থেকে বাইরে গিয়ে ধূমপান করতে বলায় এক সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের তিন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে।
রোববার (২৯ মে) রাত ১০টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হলে এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষার্থীর নাম মো. শাহাবুদ্দিন। তিনি বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এবং বিডি মর্নিংয়ের রাবি প্রতিনিধি। আহতাবস্থায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম গিয়াসউদ্দিন কাজল। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার অনুসারী বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও হল সূত্রে জানা যায়, টিভি রুমে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) দেখার সময় কাজল ধূমপান করছিল। তখন শাহাবুদ্দিন সমস্যা হচ্ছে জানিয়ে বাইরে গিয়ে ধূমপান করার অনুরোধ করেন। এতে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। ঘটনার এক পর্যায়ে কাজলসহ কয়েকজন মিলে শাহাবুদ্দিনকে মারধর শুরু করেন।
ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকরা রাত ১২টায় উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয়। পরে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী জাকারিয়া ও অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম টিপু এবং জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে, ছাত্র উপদেষ্টা তারেক নুর, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এ সময় তারা আন্দোলনরত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় সাংবাদিকরা তিন দফা দাবি জানিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের দাবি মেনে নিয়ে সোমবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময় নিয়েছে। প্রশাসন বলছে, উপাচার্য আজ অফিসে এলে প্রথম ঘণ্টায় এ বিষয়ে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত দেবেন। সে পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত রাখার অনুরোধ জানান তারা।