আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘রাজপথ কাউকে ইজারা দেওয়া হয়নি। মির্জা ফখরুল, বলে দিচ্ছি আগুন নিয়ে খেলবেন না। আওয়ামী লীগ আছে। আপনারা শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেবেন আর আমরা ছেড়ে দিব? এটা হবে না। সন্ত্রাসীদের সাথে কোনো আপোষ নেই। ’
আজ মঙ্গলবার সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সকল সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের যৌথ সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি মনে করেছে ছাত্রদলকে দিয়ে ক্যাম্পাসে অরাজকতা করবে। তারা ‘৭৫-র হাতিয়ার গর্জে উঠো আরেকবার স্লোগান দেবে? নেত্রীকে হত্যার হুমকি দেবে আর আমরা যারা আওয়ামী লীগ করি, তারা কি বসে আঙ্গুল চুষবো? যারা ছাত্র রাজনীতি করে তারা কি বসে থাকবে? তাদের রক্ত গরম হবে না? মির্জা ফখরুল আগুন নিয়ে খেলবেন না।
আমরা হাত গুটিয়ে বসে থাকবো না। ’
এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা সন্ত্রাস করবে, নাশকতা করবে আর আমরা বসে আঙ্গুল চুষবো? রাজপথ ইজারা দিব? সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করবো না?’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু মানেই শেখ হাসিনা। তার বীরত্ব ও সাহসিকতার প্রতীক। শত মিথ্যাচারের মধ্যেও তিনি ছিলেন হিমালয়ের মতো অচল। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণা করতেই তাদের অন্তরজ্বালা শুরু হয়েছে। পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে দেশে ব্যাপক শোডাউন করে উদযাপন করবো। ’
এক প্রশ্নের ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংবিধান বহির্ভূত, মামাবাড়ির আবদার। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আদালতের নির্দেশে বিলুপ্ত হয়েছে।
আমরা চাই বিএনপি নির্বাচনে আসুক। তারা যদি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য নির্বাচনে না আসে তাহলেও নির্বাচন হবে। সময় ও স্রোত কারও জন্য অপেক্ষা করে না। ’
বৈঠকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারক খান, ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, ত্রাণ সম্পাদক সুজি রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, আইন সম্পাদক নজিবুল্লাহ হিরু, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুস সবুর, উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর দক্ষিণের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন।