বাংলাদেশে আর ‘৭৫-এর পুনরাবৃত্তি তো দূরের কথা ঐ চিন্তা মাথায় আনলে মাথা ভেঙে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে নুর পরশ।
রোববার (৫ জুন) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে যুবলীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ফজলে শামস্ পরশ বলেন, বিএনপি এতদিন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করেছে আমাদের কোনো আপত্তি ছিল না। কিন্তু শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিবেন, আর আমরা বসে থাকব? শেখ ফজলুল হক মণির যুবলীগ এখনো বেঁচে আছে। আমরা রাজপথ থেকে জন্মেছি, রাজপথেই আছি, রাজপথেই মরতে জানি।
বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে আগুন-সন্ত্রাস করলে জবাব রাজপথেই দেওয়া হবে। আমরা সব সময় প্রস্তুত আছি আপনাদের মত অপশক্তিকে সায়েস্তা করার জন্য।
প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলী সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। বিক্ষোভ সমাবেশ সঞ্চালনা করেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে ফজলে শামস্ পরশ বলেন, আপনারা সঙ্ঘবদ্ধ থাকবেন। ওদের দিন শেষ। খুব শীঘ্রই ওদের ধোকাবাজির মুখোস উন্মোচিত হবে এবং ওরা জনগণের রোষানল থেকে বাঁচবার জন্য পালাবার চেষ্টা করবে। ওরা যেন কোনোভাবে পালাতে না পারে। ওদের এক শীর্ষ নেতা তো এমনিতেই সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। বাকিরা যেন পালাতে না পারে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, আমরা জানি ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে হত্যা নেতৃত্বশূন্য করতে চেয়েছিল। বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় এসে অসংখ্য নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। শাহ এস এম কিবরিয়া, আহসান উল্লাহ মাস্টারসহ অসংখ্যা নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছিল বিএনপি-জামাত। তারা উত্তরবঙ্গে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছিল বাংলা ভাইয়ের নামে।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ বিদেশি সাহায্যের উপর নির্ভরশীল নয়। বর্তমানে মাত্র ২% অর্থনীতি বিদেশিদের সাহায্যের উপর নির্ভরশীল। যেখানে আগে ২০-২৫% বিদেশি সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল ছিল। আমাদের নেত্রী বিদেশি বিজ্ঞানী ও অর্থনীতিবিদদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে। অতীতেও আমরা স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকারদের পরাজিত করেছি আগামী দিনেও তাদেরকে কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন-ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম।