ছয় দফা বাঙালির মুক্তির সনদ: সজীব ওয়াজেদ জয়

মঙ্গলবার (৭ জুন) ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস। ১৯৬৬ সালের এ দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ছয় দফা দাবির পক্ষে দেশব্যাপী তীব্র গণআন্দোলনের সূচনা হয়।

এদিন দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের ডাকে হরতাল চলাকালে নিরস্ত্র জনতার ওপর পুলিশ ও তৎকালীন ইপিআর গুলিবর্ষণ করে। এতে ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জের মনু মিয়া, সফিক ও শামসুল হকসহ ১১ জন শহীদ হন।

ঐতিহাসিক এই দিনটি উপলক্ষ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘বাঙালির দীর্ঘ সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় বাংলার মাটিকে চিরতরে স্বাধীন করার বীজ বপন করা হয় ১৯৬৬ সালের ছয় দফা দাবির মধ্যদিয়ে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক উত্থাপিত ছয় দফা দাবি বাঙালি জাতির স্বাধিকার আন্দোলনের ভিত্তিস্তম্ভ স্বরূপ। ছয় দফা বাঙালির “মুক্তির সনদ”। বহুকাল থেকে অন্যায়, অবিচার ও বৈষম্যের শিকার বাঙালি জাতি ‘ছয় দফা দাবি’র মধ্যদিয়ে নতুন দিকনির্দেশনা পেয়েছিল।

১৯৬৬ সালের ১৮ মার্চ আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে শেখ মুজিবর রহমানের নামে “আমাদের বাঁচার দাবি: ছয় দফা কর্মসূচি” শীর্ষক একটি পুস্তিকা প্রচার করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ‘৬ দফা কর্মসূচির’ প্রচারণায় পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন জেলা পরিদর্শন করেন।

১৯৬৬ সালের ৭ জুন বঙ্গবন্ধুর আহবানে ছয় দফা বাস্তবায়নের দাবিতে সারা দেশে হরতাল পালিত হয়। তৎকালীন পুলিশ ও ইপিআর ওই হরতালে নির্বিচারে গুলি চালায় ও লাঠিপেটা করে। টঙ্গী, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জে মনু মিয়া, শফিক, শামসুল হকসহ ১১ বাঙালি শহীদ হন। প্রায় আটশ’ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ কর্মী এবং হাজারো নিরীহ মানুষকে গ্রেফতার করা হয়। এর পর থেকেই ৭ জুন ‘ছয় দফা দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। ৭ জুনের সফল হরতালে আতঙ্কিত হয়ে স্বৈরশাসক আইয়ুব খান বঙ্গবন্ধুকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় জড়িয়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। কিন্তু ঊনসত্তরের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান এ চক্রান্ত ব্যর্থ করে দেয়।

ছয় দফা উত্থাপন ও বাস্তবায়নের পুরো ঘটনাগুলো জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন এবং তরুণ প্রজন্মকে দেশের সঠিক ইতিহাস জানতে উদ্বুদ্ধ করুন।

জয় বাংলা

জয় বঙ্গবন্ধু।’