কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচন উপলক্ষে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)। ভোটের আগের দিন মঙ্গলবার (১৪ জুন) কুমিল্লা জিলা স্কুলের শহীদ আবু জাহিদ মিলনায়তন থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ইভিএম বিতরণ করা হচ্ছে। ট্রাকে করে সকাল থেকে এই বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়।
সিটি নির্বাচনে ২ লাখের বেশি ভোটার ১০৫ কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ১০৫টি ভোটকেন্দ্রে বুথ রয়েছে ৬৪০টি।
সেখানে অবস্থানরত কুসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, আমরা সুষ্ঠু ভোট করার জন্য বদ্ধপরিকর। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্কুলার অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেকটি কেন্দ্রেই পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ, আনসার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন। জেলা প্রশাসক, পুলিশের কর্মকর্তারা সবাই সজাগ থাকবেন। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় চেক পয়েন্ট করা হয়েছে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকার ঘটনা না ঘটে। আমি আশাবাদী, একটি ভালো নির্বাচন হবে।
ইভিএম নিতে আসা ক্যান্টনমেন্ট কলেজ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, আশা করি ইভিএমের মাধ্যমে একটি সুন্দর ও পরিকল্পিত নির্বাচন হবে। ইভিএমের মাধ্যমে কোনো ঝামেলা হবে না। আমরা সরকারের দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করব ।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এরই মধ্যে আমরা ভোট কেন্দ্র প্রস্তুত করেছি। এখন মালামালগুলো নিয়ে গিয়ে বিকেল পাঁচটার মধ্যেই চালু করব। কোনো সমস্যা হলে জানাব। নির্বান কমিশন সমাধান করবে।
এবারের নির্বাচরে ৫ জন মেয়র প্রার্থী লড়াই করলেও স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, আওয়ামী লীগের আরফানুল হক রিফাত, বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু ও নিজাম উদ্দিন কায়সারে মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। বহিষ্কৃত দুজন স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। তরুণদের মধ্যে নিজাম উদ্দিন কায়সারকে নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ দেখা গেছে। ২০১৭ সালে আঞ্জুম সুলতানা সীমাকে ১১ হাজার ভোটে হারিয়ে সাক্কু জয় পান। সেবারও এ জয়ে তরুণ ভোটাদের আধিক্য ছিল। তাই এবারের তরুণ ২২ হাজার নতুন ভোটারকে জয়-পরাজয়ে ফ্যাক্টর মনে করছেন প্রার্থীরা।
এছাড়া মেয়র পদে অন্য দুই প্রার্থী হলেন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাশেদুল ইসলাম, কুমিল্লা নাগরিক ফোরামের সভাপতি কামরুল আহসান বাবুল। এই দুজন নিয়ে অতটা আলোচনা নেই মাঠে, তারা প্রচারও চালিয়েছেন সীমিত আকারে।
৫ জন মেয়রপ্রার্থীর পাশাপাশি ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী ৩৬ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডে ১০৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।