ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর সিভিয়েরোদোনেতস্ক এবং খারকিভ অঞ্চলে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউক্রেনীয় বাহিনী বেদনাদায়ক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। একইসঙ্গে ইউক্রেনের আরও ক্ষেপণাস্ত্র-বিধ্বংসী অস্ত্র প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) গভীর রাতে দেওয়া ভিডিওবার্তায় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এই মন্তব্য করেন। বুধবার (১৫ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
গভীর রাতের এই ভাষণে তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনের এখন আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র-বিরোধী অস্ত্রের প্রয়োজন। তার দাবি, এই ধরনের অস্ত্র সরবরাহে অংশীদার ও মিত্র দেশগুলোর বিলম্ব করার কোনো যুক্তি থাকতে পারে না। রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর নিক্ষেপ করা রকেট ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ফাঁকি দিচ্ছে এবং এ কারণে হতাহত হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ইউক্রেন বলছে, রাশিয়া সিভিয়েরোদোনেতস্ক শহরের শেষ সেতুটি ধ্বংস করার পরে ইউক্রেনীয় বাহিনী এখনও সেখান থেকে বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে মস্কো পুরো ডোনবাস অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিতে এই শহরটি দখলে ব্যাপক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
জেলেনস্কি বলেন, ‘সিভিয়েরোদোনেতস্ক এবং আশেপাশের অন্যান্য শহর ও এলাকায় এখনও আগের মতোই ভয়ঙ্কর লড়াই হচ্ছে। আর এই লড়াইয়ে যে ক্ষতি হচ্ছে তা বেদনাদায়ক।’
অবশ্য এই পরিস্থিতিতেও মনোবল ধরে রাখতে চান ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট। তার ভাষায়, ‘আমাদের শক্তি ধরে রাখতে হবে। ডনবাসে নিজেদের শক্তি ধরে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে শত্রু যত বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হবে তত কম শক্তি নিয়ে আগ্রাসন চালাবে তারা।’
জেলেনস্কি বলেন, ‘কিয়েভের পূর্বে অবস্থিত খারকিভ অঞ্চলেও ‘বেদনাদায়ক ক্ষতির’ সম্মুখীন হয়েছে ইউক্রেন। এই অঞ্চলে রাশিয়াকে সম্প্রতি পিছু হটতে বাধ্য করা হলেও রুশ সেনারা সেখানে ফের তাদের অবস্থান শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেখানে যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে এবং আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। কঠোর লড়াই করতে হবে।’
এদিকে মঙ্গলবার ড্যানিশ সাংবাদিকদের জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর কাছে পর্যাপ্ত গোলাবারুদ এবং অস্ত্র রয়েছে, তবে আরও দূরপাল্লার অস্ত্রের প্রয়োজন। ড্যানিশ পাবলিশিং হাউস বার্লিংস্ক মিডিয়া আয়োজিত একটি অনলাইন প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলেনস্কি এই মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।