আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত ২৫০

আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৫০ জন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। বুধবার (২২ জুন) ভোরে দেশটির পাকতিকা প্রদেশে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে।

বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ভূমিকম্পের পর সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্লাটফর্মে বহু ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। এসব ছবিবে আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে স্ট্রেচারে করে আহত ব্যক্তিদের পাশাপাশি ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাড়ি-ঘরের ধ্বংসস্তূপের দৃশ্য উঠে এসেছে।

আফগানিস্তানের স্থানীয় এক সরকারি কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, মৃতের সংখ্যা ২৫০ জনের বেশি বাড়তে পারে এবং আরও ১৫০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

এর আগে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল আফগানিস্তানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় খোস্ত শহর থেকে ৪৪ কিলোমিটার দূরে ছিল বলে জানিয়েছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস।

বুধবার দিনের প্রথম দিকে শক্তিশালী এই ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। যার গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫১ কিলোমিটার। তবে বুধবার সকালে প্রাথমিকভাবে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। পরে বেলা বাড়তেই বিপুল সংখ্যক মানুষের প্রাণহানির খবর সামনে এলো।

এদিকে ইউরোপীয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএসএসসি) জানিয়েছে, উৎপত্তিস্থল থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরেও ভূমকম্পটির তীব্রতা অনুভূত হয়, যার প্রভাব পড়ে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ভারতের অন্তত ১২ কোটি মানুষের ওপর।

পাকিস্তানের রাজধানীর ইসলামাবাদ, লাহোর, মুলতান, কোয়েটাসহ অন্যান্য অঞ্চলেও এর তীব্রতা অনুভূত হয়। কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী এ ভূমিকম্পে মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে রাস্তায় নেমে আসেন।

আফগানিস্তানের সরকারি মুখপাত্র বিলাল করিমি টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় জানিয়েছেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, গত রাতে পাকতিকা প্রদেশের চারটি জেলায় প্রবল ভূমিকম্প আঘাত হনেছে। এই ভূমিকম্পে শত শত মানুষ নিহত ও আহত হয়েছেন। এছাড়া আরও বহু ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘ভূমিকম্পের পর আরও বিপর্যয় এড়াতে আমরা সকল সাহায্যকারী সংস্থাকে অবিলম্বে দুর্গত এলাকায় কর্মী পাঠানোর অনুরোধ করছি।’

এর আগে গত শুক্রবার ৫ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে ইসলামাবাদ, পেশোয়ার, রাওয়ালপিন্ডি ও মুলতান। এছাড়া ফয়সালাবাদ, অ্যাবোটাবাদ, সোয়াট, বুনার, কোহাত এবং মালাকান্দেও ওই কম্পন অনুভূত হয়েছিল।