বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের ওয়ার্ড কমিটি গঠনে আর্থিক লেনদেন এবং আঞ্চলিক সম্পর্ককে প্রাধান্য দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার মোহাম্মদপুর থানার ৫টি ওয়ার্ডে (২৯, ৩১, ৩২, ৩৩ ও ৩৪) সম্মেলন হয়। সম্মেলনের শেষ মুহূর্তে এমন অভিযোগ তুলে সন্ধ্যার দিকে বিক্ষুব্ধ একটি গ্রুপ প্রতিপক্ষের উপর হামলা চালায় এবং মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান ও সদস্য সচিব আমিনুল হককে লাঞ্ছিত করে।
মোহাম্মদপুর বছিলা রোডের নীরা কমিউনিটি সেন্টারে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ বিষয়ে ২৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আবুল কাদের বলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ওয়ার্ড সম্মেলন ঘিরে এলাকাপ্রীতি এবং পদবাণিজ্য হচ্ছে। যাদের বাড়ি ভোলা তাদের চাল-চুলা না থাকলেও তারা কাউন্সিলে পাস করে যাচ্ছে। আবার যারা অর্থ দিচ্ছে তারাও কমিটিতে জায়গা পাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে স্থানীয় বিএনপি নেতারা ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমান এবং সদস্য সচিব আমিনুল হকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। গাড়ির গ্লাস ভাঙা হয়েছে, স্টেজ ভাঙচুর হয়েছে, চেয়ার ভাঙচুর হয়েছে। এ ঘটনায় ৩০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শহীদসহ কয়েকজন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
অর্থের বিনিময়ে কমিটি হচ্ছে এমন কোনো প্রমাণ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ এভাবে থাকে না। যখন নেতাকর্মী বিচ্ছিন্ন কেউ পদ পায়, আর তাকে কেউ যখন না চেনে তখন বুঝে নিতে হয় সে টাকার বিনিময়ে পদ পেয়েছে।
তবে অন্য একটি সূত্রের দাবি, কয়েকদিন আগে আদাবর থানার ৩০ নম্বর ওয়ার্ড সম্মেলন নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। ওই বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা আজ হামলা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, স্থানীয় নেতাদের নিজেদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে হট্টগোল হয়েছিল। পরে আমান ভাইয়ের ধমকে সবাই চুপ হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, আমরা অত্যন্ত স্বচ্ছভাবে আমাদের ওয়ার্ড সম্মেলন করছি। আজকে নিজেদের মধ্যে একটু ঝামেলা হয়েছে আমরা চলে আসার পরে। যারা হেরে যায় তাদের একটু মন খারাপ হয়।