প্রত্ত্বতাত্তিক ড. এনামুল হককে হারানো দেশের জন্যে অপূরণীয় ক্ষতি বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘর প্রাঙ্গনে জাদুঘরের প্রথম মহাপরিচালক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. এনামুল হকের অন্তিম যাত্রায় শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে এসে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বরেণ্য মানুষটিকে যদি আরও কিছুদিন পেতাম তবে তিনি আরও অবদান রেখে যেতে পারতেন। তাঁকে হারানো দেশের জন্যে অপূরণীয় ক্ষতি।
তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রইলো।
এর আগে জাতীয় জাদুঘর প্রাঙ্গনে প্রয়াতের প্রতি গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
ঢাকা জেলা প্রশাসনের গার্ড অব অনারের আগে তার মরদেহকে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মণি, জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ স ম আরেফিন সিদ্দিকী, জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জাতীয় জাদুঘর কর্তৃপক্ষসহ সর্বস্তরের জনগণ শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেন।
শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে ড. এনামুল হককে নিয়ে সুধীজনেরা স্মৃতিচারণা করেন। স্মৃতিচারণায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মণি বলেন, তিনি কিংবদন্তী তুল্য প্রত্ত্বতাত্তিক। বঙ্গীয় শিল্পরীতির সবকিছুতে উনার বিপুল আগ্রহ। তিনি শেষ বয়সেও দোতারা বাজানো শিখেছেন। তিনি আমাদের দেশকে চিনিয়েছেন নতুন করে।
ড. এনামুল হক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নের সময় সাহিত্য পত্রিকা ‘উত্তরণ’-এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি লন্ডন এবং নিউইয়র্ক সফর করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বিশ্বজনমত সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর প্রতিষ্ঠাসহ জাতীয় পর্যায়ে রবীন্দ্র ও নজরুল জয়ন্তী উদযাপন প্রচলনের ক্ষেত্রে তার প্রয়াস অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
কাজের স্বীকৃতি হিসেবে প্রফেসর ড. এনামুল হক ২০১৭ সালে একুশে পদক ও ২০২০ সালে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন। এ ছাড়া ভারতের পদ্মশ্রী পদকেও ভূষিত হন এই গুণীজন।
প্রসঙ্গত, রোববার (১০ জুলাই) রাজধানীতে নিজে বাসভবনে ড. এনামুল হকের মৃত্যু হয়।