
ইমোশন কাজে লাগিয়ে একটি গোষ্ঠী অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়’ উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘একটি ছেলের ফেসবুকের পোস্ট দেখে আবেগের (ইমোশনাল) বশবর্তী হয়ে নড়াইলে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছে। বাংলাদেশে সব ধর্মের প্রাধান্য রয়েছে। হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সবাইকে নিয়ে আমাদের দেশ। আমরা জাতি হিসেবে অত্যন্ত ইমোশনাল।’
বুধবার (২০ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
ফেসবুকে ধর্মীয় অবমাননাকর পোস্ট দেওয়ার জেরে গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর নড়াইলের দিঘলিয়ার সাহাপাড়ায় দুটি বাড়িতে ভাঙচুর হয়। একটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। বাজারের তিনটি দোকান ভাঙচুর করা হয়। চারটি মন্দিরে হামলার ঘটনাও ঘটে।
ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে তিনদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৮ জুলাই) নড়াইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মোরশেদুল আলম এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
নড়াইলের ওই ঘটনা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মাঝে মাঝে যেকোনো ভাবেই দু-একটি উক্তি চলে আসে এবং এগুলো পুঁজি করে ইমোশনালভাবে কিছু ঘটনা ঘটে যায়। আর ইমোশন কাজে লাগিয়ে একটি গোষ্ঠী অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়।’
‘নড়াইলসহ এর আগেও কিছু ঘটনা ঘটেছে। সবগুলো ঘটনাতেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎক্ষণাৎ অ্যাপ্রোচ করেছে। নড়াইলের ঘটনা যখনই ঘটেছে তখনই ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া ছেলেটির বাড়ি প্রটেকশনে ছিল এবং তাকে খোঁজা হচ্ছিল। কিন্তু ছেলেটির ফেসবুকের পোস্ট দেখে একটি গোষ্ঠী ইমোশনাল হয়ে নড়াইলে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করে ‘








