বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেছেন, ক্যাপাসিটি চার্জের নামে সরকার মাফিয়াদের লুট করার সুযোগ করে দিয়েছে। সরকারি দলের মাফিয়া লুটেরা যারা আগামী নির্বাচনে এই কালো টাকা টাকার প্রভাব দেখাবে। কালো টাকার প্রভাবে তারা নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে।
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সীমাহীন লুটপাট ও রেলের দুর্নীতি-অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে এ সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ।
ডাকসুর সাবেক ভিপি নুর বলেন, বিদ্যুৎ খাতে কয়েকটি মাফিয়া রয়েছে। কোনো রকমের বিদ্যুৎ না দিয়ে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে নিচ্ছে। সরকার বলছে, তারা বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতে ভর্তুকি দিচ্ছে। কিন্তু জনগণ তো প্রতিনিয়তই প্রকৃত মূল্য দিয়ে যাচ্ছে। গত কয়েক বছরে বিদ্যুতের খুচরা রেট ৯০ ভাগ বাড়ানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দুটি বিষয় আমাদের সামনে দৃশ্যমান। রেলের দুর্নীতি-অনিয়ম, আরেকটি জ্বালানি ও বিদ্যুৎ। রেলের কালো বিড়াল চলে গেছে। কিন্তু দুর্নীতি শেষ হয়ে যায়নি। একজনের পর আরেকজন আসছে। এই সরকার যে উন্নয়নের মিথ্যা বুলি আমাদের সামনে দেখাচ্ছে সেটা এখন সবার সামনে প্রকাশ পেয়েছে। দুর্নীতি শুধু রেল ও বিদ্যুতে নয়, সরকারের প্রত্যেকটা জায়গায় দুর্নীতি হচ্ছে।
ক্যাপাসিটি চার্জের কারণে বিদ্যুতে লোকসান দিতে হচ্ছে জানিয়ে নুর বলেন, ক্যাপাসিটি চার্জ যারা পাচ্ছে সবাই সরকারি দলের লুটেরা মাফিয়ারা। তারা উন্নয়নের নামে নেতাকর্মীদেরকে ভাগ বাটোয়ারার একটা পকেট খুলে দিয়েছেন। এখন বাংলাদেশের গোঁজামিলের উন্নয়নের হিসাব জনগণের সামনে উন্মোচিত হয়েছে। আপনারা জানলে অবাক হবেন, গত দেড় বছরে সরকার ৭০ হাজার কোটি টাকা শুধুমাত্র তাদের মাফিয়া লুটেরাদেরকে ক্যাপাসিটি চার্জ দিয়েছে।
নুর বলেন, উন্নয়নের মূলা ঝুলিয়ে জনগণকে হারিকেন ধরিয়ে দিয়েছে। এখন আরেকটা বাঁশ ধরিয়ে দেওয়ার সময় অপেক্ষা করছে। কাজেই জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে সেই বাঁশ আপনাদের হাতে ধরিয়ে দেওয়ার আগে আপনারা ওদের হাতে বাঁশ ধরিয়ে দেবেন কি না।
ডাকসুর এই সাবেক নেতা বলেন, আইএমএফ বলছে রিজার্ভের হিসাব ৩১ বিলিয়ন ডলারের মতো। কিন্তু সরকার বলছে, সেটি চল্লিশ বিলিয়নের কাছাকাছি। কারণ তারা যেভাবে বাজেটের আগে জিডিপি প্রবৃদ্ধির একটি অনুমানভিত্তিক সংখ্যা নির্ধারণ করে দেয়। এখন যখন অর্থনীতিবিদসহ বিভিন্ন সংস্থা এটা নিয়ে বলছে, তারা সেটি বিশ্বাস করতে নারাজ।
বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, আবু হানিফ, সাদ্দাম হোসেন, সহকারী সদস্য সচিব খায়রুজ্জামান, তারেক রহমান, বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মঞ্জুর মোর্শেদ মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান আরিফ প্রমুখ।