দেশে নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসলেই আওয়ামী লীগ সাম্প্রদায়িক হামলা চালায় বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ একটা কথাই বলছে- আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। নির্বাচন কমিশনও বলতে বাধ্য হচ্ছে, একটি রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি না হলে এবং সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত না হলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। আর এসব দাবি পাশ কাটিয়ে দিতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ওপর হামলা আওয়ামী লীগের এক ধরনের কৌশল।’
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় গুলশান বিএনপির চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলে তিনি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘তারা সবকিছুতেই ডাইভারশন শুরু করেছে। অথচ ক্রাইসিসটা হচ্ছে, গণতন্ত্র পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। এজন্যই এ ধরনের ঘটনাগুলো ঘটাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গণতন্ত্র নেই বলে মানুষের অধিকার রক্ষা করা যাচ্ছে না। যা খুশি লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে তারা। লোডশেডিং বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণও তাই। এ কারণেই সর্বক্ষেত্রে ডাইভারশন করে আসল জায়গাগুলো থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’
গতকাল প্রকাশিত জনশুমারির প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মাথাপিছু আয় বেশি দেখানোর জন্য জনসংখ্যা কম দেখানো হয়েছে। যেখানে আমরা হিসাব করি ১৮ কোটি মানুষ, সেখানে দেখানো হয়েছে ১৬ কোটি। এমনকি তারা নিজেরাই স্বীকার করেছে, জনশুমারির এসব তথ্য সঠিক হয়নি। বাড়ি বাড়ি তারা যায়নি।’
যেসব সম্প্রদায়ে মানুষের সংখ্যা কম, স্বাধীনতার পর থেকেই সেগুলোর ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘তাদের জমি দখল করে নেওয়া হয়েছে। যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে তখনই সবচেয়ে বেশি এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। আমরা মনে করি- গণতন্ত্রের অভাবে এই সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস-হামলা করা হচ্ছে। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষদের দেশ থেকে তাড়িয়ে তাদের সম্পদ লুট করাই আওয়ামী লীগের একমাত্র লক্ষ্য।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ওপর হামলা বাড়ে। দেখা যায়, তাদের লোকেরাই সাম্প্রদায়িক হামলাগুলোর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বাবু নিতাই রায় চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্র ইসলাম অমিত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ফাহিমা নাসরিন মুন্নি, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা প্রমুখ।