অপশক্তি একের পর এক চক্রান্তের ফাঁদ পেতেছে: জয়

ষড়যন্ত্রকারীরা শুধু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নয়, তার সঙ্গে স্বাধীনতার আদর্শগুলোকেও হত্যা করতে চেয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। সোমবার জাতীয় শোক দিবসের দিন এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ কথা লিখেছেন।

শোকের দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের সবাইকে স্মরণ করে তার দৌহিত্র তথ্যপ্রযুক্তিবিদ সজীব ওয়াজেদ জয় লেখেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত অপশক্তির ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি। পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে তারা একের পর এক চক্রান্তের ফাঁদ পেতেছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর বিপথগামী উচ্চাভিলাষী কয়েকজন সদস্যকে ষড়যন্ত্রকারীরা ব্যবহার করেছে ওই চক্রান্তেরই বাস্তব রূপ দিতে। এরাই স্বাধীনতার সূতিকাগার বলে পরিচিত ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িটিতে হামলা চালায় গভীর রাতে। হত্যা করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারকে।’

একে বিশ্ব ও মানবসভ্যতার ইতিহাসে ‘ঘৃণ্য ও নৃশংসতম’ হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র জয় বলেছেন, ‘সেদিন তারা কেবল বঙ্গবন্ধুকেই নয়, তার সঙ্গে বাঙালির হাজার বছরের প্রত্যাশার অর্জন স্বাধীনতার আদর্শগুলোকেও হত্যা করতে চেয়েছিল। মুছে ফেলতে অপপ্রয়াস চালিয়েছিল বাঙালির বীরত্বগাথার ইতিহাসও।’

খুনিদের শাস্তি নিশ্চিত না করে উলটো পুরস্কৃত করার যে ঘটনা ঘটেছিল, তা তুলে ধরে সজীব ওয়াজেদ জয় তার পোস্টে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড বাঙালি জাতির জন্য করুণ বিয়োগগাথা হলেও ভয়ংকর ওই হত্যাকাণ্ডে খুনিদের শাস্তি নিশ্চিত না করে বরং দীর্ঘ সময় ধরে তাদের আড়াল করার অপচেষ্টা হয়েছে। এমনকি খুনিরা পুরস্কৃতও হয়েছে নানাভাবে। হত্যার বিচার ঠেকাতে কুখ্যাত ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’ জারি করেছিল বঙ্গবন্ধুর খুনি খন্দকার মোশতাক সরকার।’ জাতির পিতার দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় এই শোকের দিনে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সব সদস্যদের।