দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কতটি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আজ মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট)। একই সঙ্গে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের বিষয়েও সিদ্ধান্ত হতে পারে।
তবে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের সিদ্ধান্ত হলে তফসিল আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে হতে পারে বলে জানান নির্বাচন কমিশন (ইসি) কর্মকর্তারা। বিকেল ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ বিষয়গুলো নিয়ে কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এতে সভাপতিত্ব করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (ইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সভায় অন্য চার নির্বাচন কমিশনাররাও উপস্থিত থাকবেন। আজকের সভার এজেন্ডায় ইভিএম, গাইবান্ধা-৫ শূন্য আসনে উপনির্বাচন, স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচন ও উপনির্বাচন এবং বিবিধ বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
সম্প্রতি ইভিএম প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে ইভিএমে ভোট করতে চাইলে কমিশনকে এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অর্থাৎ আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএমে ভোট হবে কি না সে বিষয়ে আজকেই সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে জানান।
এদিকে গত ২১ আগস্ট নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হবে, তবে কত আসনে হবে সে সিদ্ধান্ত আমরা এখনো নিতে পারিনি। আলোচনা করছি। এই মুহূর্তে ৭০ থেকে ৮০ আসনে ভোট করার সক্ষমতা আছে। আমরা কতগুলোতে পারব সেই সক্ষমতার ওপর নির্ভর করবে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, গাইবান্ধা-৫ আসনটি শূন্য হয়েছে গত ২৩ জুলাই। এদিন থেকে পরবর্তী নব্বই দিন অর্থাৎ ২০ অক্টোবরের মধ্যে নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এই হিসেবে আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনটি সম্পন্ন করতে হবে।
এর আগে, গত ২৪ জুলাই সংসদ সচিবালয়ের সচিব কেএম আব্দুস সালাম প্রয়াত ডেপুটি স্পিকারের আসনটি শূন্য ঘোষণার গেজেট প্রকাশ করেন। এতে উল্লেখ করা হয়- ‘বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের মাননীয় সংসদ সদস্য ও একাদশ জাতীয় সংসদের মাননীয় ডেপুটি স্পীকার জনাব মো. ফজলে রাব্বী মিয়া ০৮ শ্রাবণ ১৪২৯/২৩ জুলাই ২০২২ তারিখ পূর্বাহ্ণে মৃত্যুবরণ করায় একাদশ জাতীয় সংসদের ৩৩ গাইবান্ধা-৫ আসনটি ওই তারিখে শূন্য হয়েছে। সংসদ সচিবালযের আসন শূন্য ঘোষণার গেজেট নির্বাচন কমিশনে এসে পৌঁছেছে। তার ভিত্তিতে প্রাথমিক প্রস্তুতির কাজও শুরু করে দিয়েছে সংস্থাটি।’