আ.লীগ নেতা শরিফ হত্যার বিচারের দাবি করেছেন ডঃ আওলাদ হোসেন

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের শ্যামপুর থানার ৯০ নং ওয়ার্ড (৫৪ নং) আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহীদ শরিফ মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন হত্যার বিচার দাবি করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব ডঃ মোঃ আওলাদ হোসেন।

শুক্রবার (২৬ আগষ্ট) শরীফ মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেনের ১৯ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ৫৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ আয়োজিত দোয়া অনুষ্ঠানে তিনি এ বিচার দাবি করেন।

দোয়া অনুষ্ঠানের পূর্বে সকাল ১১টায় জুড়াইন কবরস্থানে মোজাম্মেল হোসেনের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন ডঃ মোঃ আওলাদ হোসেনসহ মরহুমের পরিবারের সদস্যরা, শ্যামপুর থানা আওয়ামীলীগ, ৫৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজি মাসুদ ও স্থানীয় রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংগঠন সমূহ।

আওলাদ হোসেন বলেন, দীর্ঘ ১৮ বছর অতিক্রান্ত হলেও শহীদ শরিফ মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন হত্যার বিচার হয়নি। তিনি অবিলম্বে খুনিদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন এবং মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করি।

৫৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক শরীফ মোহাম্মদ আলমগীর এর সভাপতিত্বে
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের আরও বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক শেখ মোঃ আজহার, শ্যামপুর থানা আওয়ামীলীগ সভাপতি বার মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল হোসেন, কদমতলী থানা আওয়ামীলীগ সভাপতি মোহাম্মদ নাছিম মিয়া, শ্যামপুর থানা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও ৫১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী হাবিবুর রহমান বাবু, শ্যামপুর থানা আওয়ামীলীগ এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খুরশীদুর রহমান মাসুম, দপ্তর সম্পাদক শরীফ মোহাম্মদ শাহজাহানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

প্রসঙ্গত ২০০৩ সালের ২৬ আগস্ট রাতে ২৩ নং বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে ফেরার পথে গুলিস্তান এলাকায় আততায়ীর গুলিতে নিহত হয়েছিলেন সাবেক বৃহত্তর ডেমরা থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শরীফ মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন। মৃত্যুকালে তিনি তিন বছর বয়সী এক ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন। মৃত্যুর অল্প কয়েকদিন পরই, ৬ সেপ্টেম্বর ২০০৩, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী (তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা) শেখ হাসিনা শরীফ মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেনের বাসায় গিয়ে মরহুমের বিধবা স্ত্রী, বৃদ্ধ বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউজ্জামান ও পিতৃহারা পুত্র-কন্যাদের সমবেদনা জানান এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট থেকে আর্থিক সহায়তা শহীদ শরিফ মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেনের পুত্র কন্যাদের লেখাপড়ার খরচ বহন করেন।