অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। বিচারিক আদালতে পাওয়া তার জামিন বাতিল চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করেছে দুদক। ওই আবেদনটি উপস্থাপন করা হলে আদালত এ বিষয়ে শুনানির অনুমতি দিয়েছেন।
সোমবার (২৯ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ থেকে জামিন বাতিলের আবেদনের বিষয়ে শুনানির জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আদালতে আজ দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
এর আগে (২৮ আগস্ট) অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় জামিনে মুক্তি পাওয়া ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে বিচারিক আদালতের দেওয়া জামিন বাতিল চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করে দুদক।
রোববারই সে আবেদনের শুনানির জন্য উপস্থাপন করার কথা থাকলেও হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের একজন বিচারক অসুস্থ থাকায় সেটি হয়নি।
গত ২২ আগস্ট অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় জামিন পান ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান তাকে জামিনের আদেশ দেন। অসুস্থতার কারণে তাকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেন আদালত। এরপর তিনি গত ২৬ আগস্ট মুক্তি পান।
সম্রাটের জামিন শর্তে আদালত বলেছেন, তার পাসপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে। আদালতের অনুমতি না নিয়ে তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।
গত শুক্রবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে জামিনে মুক্তি পেয়ে বিকেল ৪টার দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে এসে সম্রাট গণমাধ্যমে বলেন, রাজনীতি নিয়ে আমার কোনো ভাবনা নেই, আমি সব সময় শেখ হাসিনার কর্মী ছিলাম, কর্মী হিসেবেই কাজ করে যাবো। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতির পদ থেকে বহিষ্কারের বিষয়টি জানা নেই বলেও সাংবাদিকদের জানান সম্রাট।
২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। এরপর গত ২২ মার্চ তার বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করে আদেশ দেন ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। একই সঙ্গে অভিযোগ গঠনের দিন ঠিক করে মামলাটি এ আদালতে বদলির আদেশ দেন।
ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামে আত্মগোপনে থাকা সম্রাটকে গ্রেফতার করে র্যাব। তার সহযোগী তৎকালীন যুবলীগ নেতা এনামুল হক ওরফে আরমানকেও গ্রেফতার করা হয়। পরে ঢাকায় এনে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।