প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, ভর্তুকি দিয়ে তেল কেনা হতো, আর সেটা প্রতিবেশী দেশে যেত। এখন তেল পাচার বন্ধ হয়েছে, সেজন্য তেলের দাম ৫ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) শোক দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সারা পৃথিবী জুড়ে কিছু মানুষ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপতৎরতা চালিয়ে যাচ্ছে বলে এ সময় মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। এ বিষয়ে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনি, যুদ্ধাপরাধীদের স্বজনরাই বিদেশে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। অপপ্রচারের উপযুক্ত জবাব দিতে হবে। তবে আমরা সংঘাত চাই না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে মানবাধিকার নিয়ে তত্ব জ্ঞান দেয়, যখন স্বজন হারানোর ঘটনা ঘটেছে তখন মানবাধিকার কী ভেবেছেন। সেই সময় মামলা করার অধিকারও ছিল না। দেশে গুম খুন শুরু করেছে জিয়াউর রহমান, ভোট কারচুপি শুরুও তার হাতে। জিয়াউর রহমানের আমলে যারা নিখোঁজ হন তাদের আজও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদেশে না পাঠালে নাকি খালেদা জিয়ার চিকিৎসা হবে না। আসামিকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠায়? তাহলে তো আদালতের কিছুই আর বাকি থাকবে না। আমরা সবাইকে বিদেশে পাঠাবো?
শোক দিবসের আলোচনায় রাখা বক্তব্যে শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, আগামী ১ অক্টোবর থেকে এক কোটি পরিবারকে ৩০ টাকা কেজিতে চাল দেয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে। কারণ এই যুদ্ধ আমেরিকা থামতে দেবে না। আমেরিকার নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত থামবে না এ যুদ্ধ। কাজেই আমাদের উৎপাদন অব্যহত রাখতে হবে।
পাকিস্তানে ত্রাণ পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। বলেন, পাকিস্তানে বন্যা, সেখানে বাচ্চারা কষ্টে আছে। আমরা পাকিস্তানে রিলিফ পাঠাবো। তাদের প্রতিও আমাদের দায়িত্ব আছে।