পুরান ঢাকার বকশীবাজার অবস্থিত বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া ঢাকা। এই ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আল্লামা কাশগরী ও শহীদ ইব্রাহিম হল নামে দুটি হল রয়েছে।এ দুই হলে প্রায় ৭০০ ছাত্র অবস্থান করে।কিন্তু এই হলগুলোর একটিতেও নেই সুপেয় পানির কোন ব্যবস্থা। ওয়াসা থেকে পানির ব্যবস্থা থাকলেও অধিকাংশ সময় হল গুলোতে পানি পাওয়া যায় না।
এমতাবস্থায় সোমবার ( ৫ সেপ্টেম্বর) সকালে সুপ্রিয় পানির দাবিতে সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ এর কাছে গিয়ে পানির তীব্র সংকটের কথা তুলে ধরে অনতিবিলম্বে সাবমারসিবল পাম্প স্থাপনের দাবী জানায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
পানির বিষয়ে আব্দুল আজিজ নামে অনার্স ২য় বর্ষের এক শিক্ষার্থীর সাথে কথা বললে সে জানায়,হলের জীবানু যুক্ত পানি পান করে ইতিমধ্যেই জন্ডিস সহ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা,অসুস্থ হওয়ার ভয়ে বেশীরভাগ শিক্ষার্থী’ই বুয়েট সহ সুপেয় পানি সংগ্রহ করেন। আশেপাশের মসজিদগুলো থেকেও পানি আনতে হয়। যা আমাদের জন্য খুবই কষ্টকর বিষয়।
সাকিব নামে অনার্স প্রথম বর্ষের আর এক শিক্ষার্থী বলেন, পানির অভাবে আমাদের অবস্থা খুবই নাজুক,পানি সমস্যা দূর করতে সাবমারসিবল পাম্প স্থাপনের দাবী জানাই।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে থেকে আজ নিশান চৌধুরী ও মাহমুদুল হাসান মাহমুদ এর সাক্ষরিত আবেদনে পানির তীব্র সংকটের কথা তুলে ধরে অনতিবিলম্বে সাবমারসিবল পাম্প স্থাপনের দাবী জানানো হয়। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন নিশান চৌধুরী, নাইমুল ইসলাম মাইফুল,মোঃ জুনায়েদ খান,আব্দুল আজিজ প্রমূখ।