প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা খাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা দেবে ভারত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরকালে এ বিষয়ে যৌথ সম্মতি হয়েছে।
যৌথ সম্মতিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য যানবাহন সংগ্রহের পরিকল্পনাসহ ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিরক্ষা লাইন অব ক্রেডিটের অধীনে প্রকল্পগুলোর প্রাথমিক চূড়ান্তকরণে সম্মত হয়েছে।
এছাড়া বর্ধিত সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে ২০১৯ সালে স্বাক্ষরিত উপকূলীয় রাডার সিস্টেম সমঝোতা স্মারকের প্রাথমিক কার্যকারিতা চূড়ান্তকরণে সম্মত হয়েছে উভয় দেশ।
এছাড়া বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের সঙ্গে যুক্ত লাইন অব ক্রেডিট এর অধীনে, ল বিশেষত গত বছরের তহবিল বিতরণের কার্যকারিতা এবং গতির জন্য ভারতের প্রশংসা করেছে। বাংলাদেশকে প্রায় ১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেয়াতি ঋণ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ও ভারতের শীর্ষ উন্নয়ন সহযোগী। ভারত কর্তৃক অন্যান্য দেশকে দেওয়া সব উন্নয়ন অর্থায়নের প্রায় এক-চতুর্থাংশ বা ২৫ শতাংশ করে বাংলাদেশকে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সাতটি সমঝোতা স্মারক সইয়ের পাশাপাশি পাঁচটি প্রকল্পের উদ্বোধন ঘোষণা দেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে সোমবার (০৫ সেপ্টেম্বর) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে নয়াদিল্লি যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।