দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করায় কিশোরগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতির পদ থেকে মো. শরিফুল ইসলামকে অব্যাহতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আজিজ এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আজিজ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কিশোরগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. শরিফুল ইসলামের কর্মকাণ্ডে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ায় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্তে (গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ ৩৪ এর গ-উপধারা অনুযায়ী) সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর নির্দেশে ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, শনিবার তাকে (শরিফুল ইসলাম) কিশোরগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।
এদিকে দলীয় অন্য একটি সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কিশোরগঞ্জ জেলা শিল্পকলা অডিটোরিয়ামে স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যার আগে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহম্মেদ বক্তব্য দেওয়ার সময় পাল্টাপাল্টি স্লোগান শুরু হয়। একপর্যায়ে সভাপতি শরিফুল ইসলামের পক্ষের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক শামীম আহম্মেদের লোকজনের হাতাহাতি হয়। এ পরিস্থিতিতে বর্ধিত সভা পণ্ড হয়ে যায়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চ ত্যাগ করেন। পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমির গেটের সামনে সাধারণ সম্পাদক শামীম আহম্মেদের ওপর হামলা করেন সভাপতি শরিফুল ইসলামের লোকজন। এতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহত হন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর বিষয়টি কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতাদের জানান উপস্থিত কেন্দ্রীয় নেতারা। বর্ধিত সভায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল্লাহ আল কাফি মণ্ডল, ডা. উম্মে সালমা মুনমুন, তারেক মাহমুদ চৌধুরী পাপ্পুসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।