রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের মূল ইস্যুকে আড়াল করতেই উস্কানি হিসাবে বাংলাদেশ সীমান্তে মিয়ানমার সশস্ত্র ধারাবাহিক হামলা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ ন্যাপ নেতারা বলেন, রাজনৈতিকভাবে সরকার দু্র্বল থাকার কারণেই মিয়ানমারও বাংলাদেশকে ভয় দেখানোর ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে। সীমান্তে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জরুরি ভিত্তিতে সরকারকে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে।
তারা মায়ানমারের সেনাবাহিনী কর্তৃক দু’দেশের সীমান্তে ধারাবাহিক উস্কানি, মর্টার শেল নিক্ষেপ ও এতে হতাহতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে নিরাপদ প্রত্যাবাসনের মূল ইস্যুটিকে আড়াল করতেই মায়ানমার সশস্ত্র উসকানি অব্যাহত রেখেছে। তুমব্রু সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমারের এই অব্যাহত সামরিক উস্কানিমূলক তৎপরতা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। দেশটির দখলদার সেনাবাহিনী পরিকল্পিতভাবেই রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে চাপে রাখতেই এই অপতৎরতা চালাচ্ছে।
তারা অনতিবিলম্বে মিয়ানমারের এই উস্কানি বন্ধে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ কূটনৈতিক উদ্যোগ এবং সীমান্তে বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জরুরি ভিত্তিতে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
বলেন, আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক মতপার্থক্য এবং সৌহার্দ ও বন্ধুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতিকে সুযোগ মনে করে, আন্তর্জাতিক কোনো ষড়যন্ত্র স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে নিয়ে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে কিনা তা পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা বিভাগ কর্তৃক, ভিন্ন-ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্ব সহকারে বিশ্লেষণ করা উচিত।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং সম্প্রীতি ও সৌহার্দপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতিকে তারা দুর্বলতা ভাবতে পারে। রাষ্ট্রদূতকে তলব করে একাধিক বার প্রতিবাদ জানানো হলেও মিয়ানমারের এই অপতৎপরতা এখনো বন্ধ না হওয়ায় জনগণের উদ্বেগ প্রতিনিয়ত বাড়ছে।