রাস্তার দুই ধারে মানুষ। কেউ ছুটছেন, কেউ দাঁড়িয়ে হাত নাড়ছেন। যারা গাড়িতে আছেন তারাও সাবিনাদের ছাদখোলা ‘চ্যাম্পিয়ন’ বাসের দিকে তাকিয়ে আছেন। চ্যাম্পিয়ন বাসে ট্রফি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন সাবিনা। তার সতীর্থরা শুভেচ্ছার জবাব দিচ্ছেন দেশের পতাকা নাড়িয়ে।
বিমানবন্দর থেকে সাবিনাদের গাড়ি বের হওয়ার পর থেকে পুরো পথজুড়ে এই চিত্র দেখা গেছে। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের অভাবনীয় এই দৃশ্য উপভোগে প্রতিটি সড়কেই মানুষের জটলা। অনেকে ভিডিও ধারণ করছেন। অনেকে সেলফি তুলছেন। ফুট ওভারব্রিজগুলোতে দাঁড়িয়ে অভিবাদন দিচ্ছেন পথচলতি মানুষ।
সাবিনাদের চ্যাম্পিয়ন বাস খানিকটা ধীর গতিতে যাচ্ছে। পেছনে ও আশপাশে মিডিয়া ও ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের অনেক গাড়িও পথ চলছে একইসঙ্গে।
সাবিনাদের ‘চ্যাম্পিয়ন’ বাসে উঠেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপিও। তার সঙ্গে উঠেছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন, বাফুফে সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মানিক, দলের ম্যানেজারসহ সংশ্লিষ্ট অনেকে।
বিমানবন্দরে সকাল থেকেই উৎসুক জনতার ভিড়। সাবিনারা ভিভিআইপি গেট দিয়ে প্রবেশের পরপরই মিডিয়া হুমড়ি খেয়ে পড়ে। এতে প্রেস কনফারেন্স নির্ধারিত জায়গায় হয়নি। প্রায় এক ঘন্টা পর ভিভিআইপি গেটের সামনে অধিনায়ক সাবিনা মিনিট দুয়েকের জন্য কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, এ ট্রফি দেশবাসীর জন্য, ১৮ কোটি মানুষের জন্য।
বিমানবন্দরে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন, অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনসহ অনেক সংস্থা ও ব্যক্তি সাবিনাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
গত সোমবার নেপালকে তাদের মাটিতে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সাফ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। আজ তারা দেশে ফিরেছেন।