পঞ্চগড়ের করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় ফের উদ্ধার অভিযান শুরু করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টায় এ উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। এ সময় নদীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ছয়জনের মরদেহ পাওয়া যায়। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৬ জনে।
পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী- উপ-পরিচালক শেখ মো. মাহাবুবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় আমাদের উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়। আজ ভোরে আবারো অভিযান শুরু হয়। এখনো যারা নিখোঁজ আছেন তাদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চলবে।
নৌকাডুবিতে মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে হাশেম আলী (৭০), শ্যামলী রানি (১৪), লক্ষ্মী রানি (২৫), অমল চন্দ্র (৩৫), শোভা রানি (২৭), দিপঙ্কর (৩), পিয়ন্ত (আড়াই বছর), রুপালি ওরফে খুকি রানি (৩৫), প্রমিলা রানি (৫৫), ধনবালা (৬০), সুনিতা রানি (৬০), ফাল্গুনী (৪৫), প্রমিলা দেবী, জ্যোতিশ চন্দ্র (৫৫), তারা রানি (২৫), সানেকা রানি (৬০), সফলতা রানি (৪০), বিলাশ চন্দ্র (৪৫), শ্যামলী রানি ওরফে শিমুলি (৩৫), উশোশি (৮), তনুশ্রী (৫), ব্রজেন্দ্র নাথ (৫৫), ঝর্ণা রানী (৪৫), দীপ বাবু (১০), সুচিত্রা (২২), কবিতা রানী (৫০), বেজ্যে বালা (৫০), দিপশিখা রানী (১০), সুব্রত (২), জগদীশ (৩৫), যতি মৃন্ময় (১৫), গেন্দা রানী, কনিকা রানী, আদুরী (৫০), পুষ্পা রানী, প্রতিমা রানী (৫০), সূর্যনাথ বর্মন (১২), হরিকেশর বর্মন (৪৫), নিখিল চন্দ্র (৬০), সুশীল চন্দ্র (৬৫), যুথি রানী (১), রাজমোহন অধিকারী (৬৫), রূপালী রানী (৩৮), প্রদীপ রায় (৩০) এবং পারুল রানীর (৩২) নাম জানা গেছে। তাদের সবার বাড়ি পঞ্চগড়ে।
রোববার দুপুরে উপজেলার বদ্বেশ্বরী মন্দিরে মহালয়া উৎসবে যোগ দিতে নৌকায় যাচ্ছিলেনে দেড় শতাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী। অতিরিক্ত যাত্রী বহন করায় নৌকাটি করতোয়া নদীর আওলিয়াঘাট এলাকায় ডুবে যায়। এ পরপরই এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।