যারা নৈরাজ্য তৈরি করতে চায়, তাদের অন্ধকার গলিপথ ছেড়ে দিয়ে সিরাতুল মুস্তাকিমে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান।
বিএনপিসহ যারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক ও নিরপেক্ষ সরকারের অযথা অহেতুক দাবি নিয়ে যারা মানুষকে কষ্ট দিতে চায়, নৈরাজ্য তৈরি করতে চায়, তাদের বলব আপনারা ওই পথ থেকে ফিরে আসেন। অন্ধকার গলিপথ ছেড়ে দেন। সিরাতুল মুস্তাকিমের রাস্তায় আসেন। সহজ-সরল পথে এসে আপনারা নির্বাচনে অংশ নেন। নৈরাজ্য না করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেন।
বুধবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের সেমিনার কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে ‘শিক্ষকদের মর্যাদা : প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে স্বাধীনতা শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশন।
আব্দুর রহমান বলেন, এমনিতেই বৈশ্বিক মন্দা, এর ওপর দেশের কিছু কিছু রাজনৈতিক দল এমন একটি নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়, যেই পরিস্থিতিতে সরকার বেসামাল হয়ে পড়ে। এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়, যাতে তারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে পারে। তাদের উদ্দেশে বলি, এদেশে আগামী দিনে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন হবে। দৈনন্দিন কাজের জন্য কেবলমাত্র শেখ হাসিনা ওই সময়কার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে থাকবেন। কিন্তু নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।
সভায় শিক্ষকদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, আপনারা যে দাবি-দাওয়া জানাচ্ছেন, সেটা নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রীর মনের ভেতরেও রয়েছে। নিশ্চয়ই তিনি আপনাদের বঞ্চিত করবেন না। তার সঙ্গে আমার দেখা হওয়ার একটাই সুযোগ হয় বোর্ড মিটিংয়ে। সেখানে আপনাদের দাবি আমি তার কাছে পৌঁছে দেব।
তিনি বলেন, যেদিন কোষাগারে টাকা ছিল না, সেদিনও বঙ্গবন্ধু শিক্ষকদের জাতীয়করণের আওতায় এনেছিল। বৈশ্বিক পরিস্থিতি যত কঠিনই হোক না কেন, যত লড়াই করেই এই পরিস্থিতি সামাল দিতে হোক না কেন, আপনাদের কথা নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুঝবেন ও দাবি পূরণ করবেন। তবে এমন কিছু আপনারা করবেন না, যাতে তিনি আগামী দিনে মানুষের জন্য কাজ করার যে সাহস ও অনুপ্রেরণা বঙ্গবন্ধু থেকে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন, সেই জায়গায় তিনি হতাশ হয়ে পারেন।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সহকারী সচিব ও সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব নজরুল ইসলাম খান। মুখ্য আলোচক ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান।
সভায় লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন স্বাধীনতা শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের প্রধান সমন্বয়কারী ও স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের (স্বাশিপ) সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু। সভাপতিত্ব করেন শিক্ষাবিদ, স্বাশিপ সভাপতি ও স্বাধীনতা শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী।