বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারকে আর সময় দেওয়া যায় না। তারা এখন জাতির জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (০৬ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর নয়া পল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে শোক র্যালির আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকে এই দেশের মানুষ জেগে উঠেছে, তরুণ-যুবকরা জেগে উঠেছে। আমরা অনেক রক্ত দিয়েছি, আমরা আরও রক্ত দেবো। আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাবো, পেছনে ফিরবো না। এ সরকারকে বাধ্য করব পদত্যাগ করতে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে। সংসদ বিলুপ্ত করে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের মধ্য দিয়ে জনগণের ভোটে নতুন পার্লামেন্ট গঠন করে নতুন সরকার গঠন করা হবে, জনগণের সরকার গঠন করা হবে।
জ্বালানি তেল ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ভোলায় নুরে আলম, আব্দুর রহিম, নারায়ণগঞ্জের শাওন প্রধান, মুন্সিগঞ্জের শহীদুল ইসলাম শাওন ও যশোরের আব্দুল আলিম হত্যার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ শোক র্যালি করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, রাজবাড়ীতে একজন নারী নেত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার দুইটা বাচ্চা আছে। কি অপরাধ? অপরাধ হচ্ছে সে সামাজিক মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছে, লিখেছে এই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। কেন? আপনি কি গড, বিধাতা যে আপনার বিরুদ্ধে কথা বলা যাবে না। গণতান্ত্রিক দেশে যে কারো সমালোচনা করার অধিকার আছে, প্রত্যেকটি মানুষের অধিকার রয়েছে। আজকে আমাদের সেই বোন সেই কাজটি করেছে। এদের অত্যাচারের মাত্রা কোন জায়গায় গেছে যে, তারা একজন নারীকে পর্যন্ত গভীর রাতে গিয়ে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে।
তিনি বলেন, আজকে আমাদের অস্তিত্বের জন্য, আমাদের বাঁচার জন্য, আমাদের এই জাতিকে রক্ষা করার জন্য, আমাদের কোনো বিকল্প নেই ফ্যাসিবাদী সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।
আমরা ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছি দেশের স্বাধীনতার জন্য, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, সেই স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব-গণতন্ত্রকে আমরা অবশ্যই রক্ষা করব।
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু ও আমিনুল হকের পরিচালনায় র্যালির আগে সমাবেশে মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান ও দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম বক্তব্য রাখেন।
কালো পতাকা হাতে হাজারো নেতাকর্মী এ শোক র্যালিতে অংশ নেন। এতে বিএনপির হাবিবুর রহমান হাবিব, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, নাজিম উদ্দিন আলম, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, আবদুস সালাম আজাদ, কামরুজ্জামান রতন, সরফাত আলী সপু, শামীমুর রহমান শামীম, মীর নেওয়াজ আলী, সাইফুল আলম নিরব, সেলিম রেজা হাবিব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মোনায়েম মুন্না, মামুন হাসান, ইসহাক সরকার, এসকে জিলানি, রাজীব আহসান, ইয়াসীন আলী, শহীদুল ইসলাম বাবুল, আবদুর রহিম, শাহ নেছারুল হক, নজরুল ইসলাম তালুকদার, আবুল কালাম আজাদসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতারা অংশ নেন।
নয়া পল্টন থেকে শোক র্যালি কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল রেঁস্তোরার মোড় হয়ে নয়া পল্টনের সড়ক দিয়ে আরামবাগ মোড় ঘুরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।