সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা যুবদলের সভাপতি সফিকুল ইসলাম দুলুর নেতৃত্বে আমেনা আব্দুর রহিম এতিমখানা ও মাদ্রাসায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় এতিমখানা ও মাদ্রাসা ভাঙচুরের পাশাপাশি হামলাকারীরা মাদ্রাসার মুহতামিম ও তার স্ত্রীসহ পাঁচ ছাত্রকে পিটিয়ে জখম করেন।
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার বংশীপুর হাফসিখানা এলাকায় অবস্থিত মাদ্রাসাটিতে ২০-২২ জন বখাটে যুবদল নেতা দুলুর নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়।
আহতদের মধ্যে মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ মো. আনিছুর রহমান (৫৮), তার স্ত্রী আমিরুন্নেছা বেগম, ছাত্র মেহেদী হাসান (১৫) ও সাদেকুর রহমান (১৪) কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলার শিকার হাফেজ আনিছুর রহমান জানান, মাদ্রাসা সংলগ্ন বাগানের মধ্যে উঠতি বয়সী কিছু তরুণ ও যুবক প্রায়ই মাদকের আড্ডা বসায়। মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকরা একই রাস্তা ধরে প্রতিনিয়ত চলাচল করায় কয়েক মাস ধরে মাদ্রাসা অন্যত্র সরিয়ে নিতে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। এসবের ধারাবাহিকতায় শুক্রবার মাদ্রাসার এক ছাত্র বাগান থেকে কয়েকটি সুপারী কুড়িয়ে নেওয়ার জেরে সংঘবদ্ধভাবে মাদ্রাসায় হামলা চালানো হয়।
তিনি অভিযোগ করেন, সফিকুল ইসলাম দুলুসহ তার ভাই বেলাল, ভাগ্নে সনি, অনিক, হামিদ, রিজভি, রোহান, মনি ও মুজিবরসহ ২০-২২ জন লোহার রড ও গরানের লাঠি নিয়ে হামলায় অংশ নেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. শিরুজ্জামান জানান, দু’জনের আঘাত খুবই গুরুতর। হাত ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি জরুরি অপারেশনের প্রয়োজনে তাদেরকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা যুবদল সভাপতি সফিকুল ইসলাম দুলু জানান, মাদ্রাসার কিছু জিনিসপত্র চুরির ঘটনায় তার ভাবীকে দোষারোপ করা হয়। এ সময় উত্তেজিত হয়ে এলাকার কিছু ছেলে মাদ্রাসায় যেয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে তাদের ওপর হামলা করে মুহতামিম। হামলায় তাদের পরিবারের এক সদস্য আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
শ্যামনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জেল্লাল হোসেন জানান, এমন ঘটনায় শ্যামনগর থানায় বিকেল পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। থানায় এসে অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।