শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে এক অবিসংবাদিত নাম। তাঁর মহিমান্বিত আত্মদানের ফলেই স্বৈরশাহী এরশাদের পতন হয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (১০অক্টোবর) শহীদ জেহাদ দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, শহীদ জেহাদ দিবস উপলক্ষে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অগ্রসেনানী শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি ও তাঁর অম্লান স্মৃতির প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।
তিনি বলেন, শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে এক অবিসংবাদিত নাম। তাঁর মহিমান্বিত আত্মদানের ফলেই স্বৈরশাহী এরশাদের পতন হয়। শুরু হয় সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা। নব্বইয়ে স্বৈরাচারী সরকারকে উৎখাত করে গণতন্ত্রের বিজয়ে তাঁর সাহসী ভূমিকার জন্য জাতি হিসেবে আমরা গর্ববোধ করি।
বাণীতে বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, অগণতান্ত্রিক স্বৈরাশাসক নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে নেই। এখন সেই পুরনো স্বৈরাচার বর্তমান নাৎসীবাদের সাথে মিলেমিশে জনগণের নাগরিক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে জনগণকে দুঃস্বপ্নের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। পুরনো স্বৈরাচারের বদলে এখন নিষ্ঠুর ফ্যাসিবাদ কায়েম হয়েছে। আওয়ামী লীগ দুঃশাসনকে স্থায়ীত্ব দেওয়ার জন্য এসময়ের বিপুল জনপ্রিয় নেত্রী ‘গণতন্ত্রের মা’ খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাবন্দী করে রাখার পর এখন নানা বিধি-নিষেধ আরোপ করে গৃহবন্দী করে রেখেছে। দেশনেত্রীর ওপর এই নিপীড়ণের ঘটনায় প্রমাণিত হয়-এদেশে মানবতা ও মৌলিক অধিকার চরম বিপন্ন। শাসকগোষ্ঠীর চক্রান্তের কুটিল খেলায় গণতন্ত্রকে চূড়ান্তভাবে নিরুদ্দেশ করা হয়েছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আওয়ামী অপশাসনের বিরুদ্ধে সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকে কঠিন সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করবে শহীদ জেহাদের আত্মদান। গণতন্ত্র এখনও বন্দী। এখনও গণতন্ত্রের জন্য রক্ত ঝরছে। যে স্বপ্ন ও আশা নিয়ে শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদ সেদিন স্বৈরাচারের বুলেট নিজের বুকে বরণ করে নিয়েছিলেন, সেই স্বপ্ন পূরণে রাষ্ট্র ও সমাজের সকল স্তরে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করাই হবে আমাদের আজকের সংগ্রামের মূল লক্ষ্য। আর তাতেই শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের আত্মা শান্তি পাবে।