মধুমতি ও তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

মধুমতি নদীর ওপর নির্মিত মধুমতি সেতু এবং শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর নির্মিত বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম নাসিম ওসমান তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুর ১টা ১২ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে গোপালগঞ্জ, নড়াইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং নারায়ণগঞ্জ সেতু প্রান্তে যুক্ত হয়ে সেতু দুটোর সেতুর উদ্বোধন করেন।

গোপালগঞ্জ ও নড়াইলের সীমান্তে নির্মিত দেশের প্রথম ছয় লেইনের সেতু মধুমতি সেতু।

নড়াইলসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করতে ২০০৮ সালে নড়াইলের সুলতান মঞ্চে নির্বাচনী জনসভায় কালনা ঘাটে এ সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি তিনি ‘কালনা সেতু’ নামে এ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

প্রধানমন্ত্রী সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস বাংলানিউজকে বলেন, মধুমতি নদীর সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজরিত, মধুমতির নামে বড় কোন স্থাপনা নেই। সেজন্য মধুমতি নদীর মতো সুন্দর একটি নামে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মধুমতি নদীর নামে সেতুটির নামকরণ করেছেন।

সেতু উদ্বোধনের আগের দিন রোববার তা পরিদর্শনে গিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শ্যামল ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের বলেন, সোমবার বেলা ১২টায় প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের পর রাত ১২টায় জনসাধারণের চলাচলের জন্যে সেতুটি উন্মুক্ত করে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

নড়াইলের লোহাগড়ার উপজেলা এবং গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত মধুমতি নদীর ওপর নির্মিত এ সেতু উদ্বোধন হওয়ায় নড়াইল যশোরসহ এ অঞ্চলের মানুষ সড়কপথে সরাসরি ঢাকা যাতায়াত করতে পারবে। পাশাপাশি এ অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নেও এ সেতু ভূমিকা রাখবে বলে সরকার আশা করছে।

সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর (সওজ) নড়াইলের নির্বাহী প্রকৌশলী ও কালনা সেতুর প্রকল্প ব্যবস্থাপক আশরাফুজ্জামান বলেন, ৯৬০ কোটি টাকায় নির্মিত মধুমতি সেতু দেশের প্রথম ছয় লেইনের সেতু, যার প্রস্থ ২৬ দশমিক ১ মিটার। সেতুর উভয় পাশে ৬ লেইনের সংযোগ সড়ক রয়েছে, যার দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার।

অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ সদর ও বন্দর উপজেলার মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগে চালু হলো তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু, যা বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম নাসিম ওসমান সেতু বলে নাম পেয়েছে।

সেতুটি চালুর মধ্য দিয়ে দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের দূরত্ব অন্তত ২০ কিলোমিটার কমবে বলে জানিয়েছেন সড়ক ও জনপথ অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহানা ফেরদৌস। তিনি বলেন, এখন থেকে ওই দুই পথের যাত্রীদের ঢাকা হয়ে চলাচল করতে হবে না। সেই কারণে অন্তত দুই ঘণ্টা সময় সাশ্রয় হবে যাত্রীদের।

ঢাকাকে পাশ কাটানোর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, দক্ষিণের যাত্রীরা পদ্মা সেতু দিয়ে মুন্সীগঞ্জ হয়ে শীতলক্ষ্যা সেতু দিয়ে মদনপুর হয়ে চট্টগ্রাম কিংবা সিলেট যেতে পারবেন।