প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ঢাকায় বসে জাহাজে বসে না ঘরে বসে সিদ্ধান্ত নেবো সেটা বিষয় নয়, কমিশন চাইলে আইন অনুযায়ী যেকোনো জায়গায় বসে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন স্থগিতের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচন বন্ধের বিষয়ে সিইসি আরও বলেন, হঠাকারিভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি, সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সিইসির একক সিদ্ধান্ত নয়। সতর্ক করা হলেও প্রিজাইডিং অফিসার ব্যবস্থা নেয়নি, তাই বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছি।
অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, কমিটি গঠন হয়েছে। সাত দিনের মধ্য রিপোর্ট জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে, তারপর এই নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
সিইসি বলেন, আমরা যা করেছি দেখেশুনে চিন্তাভাবনা করেই করেছি। আমার ওপর কোনো চাপ নেই সকলেই শান্তিপূর্ণ ভোট চায়।
বুথে সিসি ক্যামেরা বসানোর বিষয়ে তিনি বলেন, আগের অভিযোগের (অনিয়মের) প্রেক্ষিতেই বুথে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
কোনো উল্লেখযোগ্য অনিয়ম ছাড়াই গাইবান্ধা-৫ (সাঘাট-ফুলছড়ি) আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ বন্ধ করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। বুধবার (১২ অক্টোবর) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছিল। দুপুর সোয়া ২টায় রাজধানীতে নির্বাচন ভবনে এসে ভোট বন্ধের সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।