রাশিয়ার একটি সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বন্দুকধারীদের হামলায় ১১ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৫ জন। ইউক্রেনের কাছে অবস্থিত ওই সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে শনিবার (১৫ অক্টোবর) এই হামলা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
রোববার (১৬ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগ্নেয়াস্ত্র প্রশিক্ষণের সময় দুই ব্যক্তি ইউক্রেনে স্বেচ্ছায় যুদ্ধ করতে আসা একটি দলের ওপর গুলি চালায় বলে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বার্তাসংস্থা আরআইএ জানিয়েছে।
হামলাকারীরা সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের নাগরিক বলে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। তবে এর বেশি আরও বিস্তারিত তথ্য জানায়নি তারা।
ইউক্রেন সীমান্তবর্তী রাশিয়ার বেলগোরোড অঞ্চলে ঘটনার সময় ওই হামলাকারীকেও গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৫ জন।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি বিবৃতি উদ্ধৃত করে বার্তাসংস্থা আরআইএ বলেছে, ‘যেসব ব্যক্তি স্বেচ্ছায় (ইউক্রেনের বিরুদ্ধে) বিশেষ সামরিক অভিযানে অংশ নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন, তাদের আগ্নেয়াস্ত্র পরিচালনার প্রশিক্ষণের সময় সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর ছোট অস্ত্র দিয়ে গুলি চালায়।’
এতে আরও বলা হয়, ‘বন্দুক হামলার কারণে ১১ জন মারাত্মকভাবে গুলিবিদ্ধ হন। এছাড়া আহত আরও ১৫ জনকে বিভিন্ন মাত্রার আঘাতসহ চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
গত মাসে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে সামরিক গতিবিধি বাড়াতে আংশিক সেনা সমাবেশের ঘোষণা দেন। এতে করে ৩ লাখ রাশিয়ান নাগরিককে ইউক্রেনের যুদ্ধে পাঠাতে একত্রিত করতে পারবে মস্কো কর্তৃপক্ষ।
প্রেসিডেন্ট পুতিনের ওই আদেশটি রাশিয়াজুড়ে বিক্ষোভের জন্ম দেয় এবং বহু রুশ নাগরিক দেশ ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু অক্টোবরের শুরুতে ঘোষণা করেছিলেন, ইতোমধ্যে ২ লাখেরও বেশি রিজার্ভ সেনার খসড়া করা হয়েছে।